তেলআবিবে সংবেদনশীল এক ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি "প্যালেস্টাইন–২" নামকরণ করা হয়েছে।
ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বহনকারী "উইং অব সায়োন" বিমানটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।
একইসঙ্গে সানার সরকারের ড্রোন ইউনিট দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলাত এলাকায় অবস্থিত ইসরায়েলের রামোন বিমানবন্দরে হামলা চালায়। বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়, উভয় অভিযানে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
হিব্রু গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র দখলকৃত আল-কুদস (জেরুজালেম) এবং মধ্যাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বাজায়। রামোন বিমানবন্দর ও দক্ষিণাঞ্চল জুড়েও ড্রোন হামলার পর সাইরেন বেজে ওঠে।
ইয়েমেন আবারও আরব ও ইসলামি দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজার জনগণের প্রতি ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের এখনই সময়। তারা সতর্ক করেছে, এসব অপরাধের মুখে অব্যাহত নীরবতা শুধু ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে আরও উসকে দেবে এবং সমগ্র অঞ্চলে আগ্রাসন বাড়িয়ে তুলবে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী স্পষ্ট করেছে, গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।
এই বিবৃতির কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইয়েমেনে ১২ দফা বিমান হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল হোদাইদা বন্দর। পরে সারি জানান, ইয়েমেনি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাল্টা জবাব দিয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
বর্তমানে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ একাধিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে এবং ইসরায়েলি বন্দরে নৌ অবরোধ জারি রয়েছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং গাজাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবরোধ থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।


