ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন লাদাখের রাজ্য মর্যাদা আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং বলিউডের সুপারহিট সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর বাস্তব চরিত্র হিসেবে পরিচিত সোনম ওয়াংচুক। পুলিশের অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, সীমান্তের কাছে তথ্য সরবরাহ করেছেন এবং সহিংসতা উসকে দিয়েছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে লাদাখ পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) এস. ডি. সিং জামওয়াল দাবি করেন—
“আমরা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এক এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছি, যিনি ওয়াংচুকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন। আমাদের কাছে তাদের কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়াংচুক পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন এবং বাংলাদেশ সফরও করেছেন। তার বিষয়ে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি।”
গত বুধবার লেহ অঞ্চলে সহিংসতায় চারজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, এ ঘটনার পেছনে ওয়াংচুকের উসকানিই দায়ী। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (এনএসএ) এর আওতায় মামলা করা হয়। উল্লেখ্য, এই আইনে কাউকে দীর্ঘ সময় জামিন ছাড়াই আটক রাখার সুযোগ রয়েছে।
ডিজিপি জামওয়াল আরও বলেন—
“ওয়াংচুক অতীতেও বহুবার উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় মানুষকে উসকাতে আরব বসন্ত, নেপাল ও বাংলাদেশের আন্দোলনের উদাহরণ টেনেছেন। তার সেই উসকানিতেই সহিংসতা ছড়িয়েছে।”
শুধু তাই নয়, পুলিশের অভিযোগ—কিছু তথাকথিত পরিবেশবাদী কর্মীও এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর পুরো নড়াচড়ার কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে পুলিশ ওয়াংচুককেই দায়ী করছে।
উল্লেখ্য, লাদাখে রাজ্য মর্যাদা আন্দোলনের অন্যতম মুখ ওয়াংচুক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার রাজনৈতিক মন্তব্য, বিদেশ সফর এবং পাকিস্তানি সংযোগের অভিযোগ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় লাদাখে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে—ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্যি নাকি সবকিছুই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?


