চীনের উচিত পশ্চিমা দেশগুলোর “বক্তৃতার ফাঁদ” থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের উন্নয়ন মডেল ও অবস্থান আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করা — এমনই পরামর্শ দিয়েছেন চীনের সাবেক সরকারি উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক ডিং ইফান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি, গণতন্ত্র ও বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার মতো বিষয়গুলোতে চীনকে পশ্চিমাদের ‘দ্বৈত মানদণ্ড’ চ্যালেঞ্জ করতে হবে এবং নিজের অগ্রগতি তুলে ধরতে হবে।
“চীনের উত্থান স্বৈরাচার নয়, এটি পরিকল্পিত উন্নয়নের ফল”
ডিং ইফান ছিলেন চীনের সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্টের প্রাক্তন উপ-পরিচালক।
তিনি বলেন, অনেক চীনা গবেষক বা পণ্ডিত নিজেদের দেশের উন্নয়নে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে ভয় পান, কারণ পশ্চিমা মহল তা ‘স্বৈরাচারী শাসনের ফল’ হিসেবে সমালোচনা করে।
তবে গত সপ্তাহে সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন,
“আমাদের উচিত আত্মবিশ্বাসী থাকা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন অসাধারণ উন্নতি অর্জন করেছে — এটি আমাদের শাসন ব্যবস্থার সাফল্য।”
“অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দিলে ক্ষতি হবে চীনেরই”
ডিং ইফান সতর্ক করে বলেন, পশ্চিমা উস্কানি বা সমালোচনার জবাবে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়।
“পশ্চিমারা যখন আমাদের চ্যালেঞ্জ করে, আমরা প্রায়ই আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া দেখাই। এতে কেবল পশ্চিমা সমাজই অসন্তুষ্ট হয় না, বরং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়,” — বলেন তিনি।
তার মতে, চীনের উচিত সংযম ও কূটনৈতিক দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করা, প্রতিক্রিয়াশীল নয় বরং ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে।
