ইসরায়েলের লাগাতার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে গাজা শান্তিচুক্তি এখন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে—এমন কড়া সতর্কতা দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন জসিম আল-থানি। তিনি বলেছেন, এসব লঙ্ঘন মধ্যস্থতাকারীদের কাজকে আরও কঠিন করে তুলছে এবং গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের প্রচেষ্টা মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে।
বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র-কাতার সপ্তম কৌশলগত সংলাপ শেষে তিনি জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকরে দেরি এবং প্রতিদিনের লঙ্ঘন পুরো শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করে তুলছে। এতে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার আবারও স্পষ্ট করে বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা কোনো শর্ত ছাড়াই প্রবেশ করতে দিতে হবে। একই সঙ্গে শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অবিলম্বে শুরু করা জরুরি বলেও জোর দিয়েছে দোহা।
এই আলোচনা এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং গাজায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
আল-জাজিরার যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান সংবাদদাতা অ্যালান ফিশার জানান, ওয়াশিংটনের আলোচনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল—ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে চাপ বাড়ানো, যার বেশিরভাগ ঘটনাই ইসরায়েলি বাহিনীর মাধ্যমে ঘটেছে।
এ ছাড়া আলোচনায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের প্রস্তাবও উঠে আসে। এই বাহিনীতে ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের সেনাসদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। তবে তুরস্কের সম্পৃক্ততা নিয়ে ইসরায়েল আপত্তি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় বাড়তে থাকা মানবিক সংকট নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে কাতার যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়ে আরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানায়।
