যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা সিরিয়ার ওপর বহু বছর ধরে জারি থাকা সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নিয়েছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে জারি হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মাধ্যমে, গৃহযুদ্ধ ও সংঘাতে বিধ্বস্ত দেশটিতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগের নতুন দরজা খুলে দিল ওয়াশিংটন।

সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে ক্ষমতায় আসেন তার ছেলে বাশার আল-আসাদ। দীর্ঘ ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন এবং পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। এরপর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হন আহমেদ আল শারা, যিনি এক সময় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সিরিয়া শাখার নেতা ছিলেন।

বাশার আল-আসাদের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর ডজন ডজন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর মধ্যে ছিল তেল বিক্রি এবং বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত কঠোর নিষেধ। ক্ষমতার পালাবদলের পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব ও তুরস্কের সুপারিশ মেনে এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর কার্যকারিতা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট শারা সবসময়ই চেয়েছিলেন নিষেধাজ্ঞাগুলো সম্পূর্ণরূপে উঠে যাক।

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একটি বিল উত্থাপন করা হয়। সিনেটে ৭৭ জন সদস্য বিলটির পক্ষে ভোট দেন, আর বিপক্ষে ভোট দেন ২০ জন। এই ভোটের ফলাফল এরই মধ্যে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস অনুমোদন করেছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এতে স্বাক্ষর করেছেন, ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।

 

news