ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর চলছে নিয়মতান্ত্রিক পাশবিক নির্যাতন। ভয়াবহ যৌন সহিংসতার মর্মান্তিক বিবরণ দিয়েছেন দু’জন সাবেক বন্দি। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সামি আল-সাই ও হালিম সালেম মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন, কী নৃশংসভাবে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

সামি আল-সাইয়ের বয়ান, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করে মেজিডো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে তার চোখ বেঁধে দীর্ঘক্ষণ পেটানো হয়। এরপর একটি শক্ত বস্তু দিয়ে তাকে পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আল-সাই জানান, নির্যাতন চলাকালে ইসরায়েলি কারারক্ষীরা হাসাহাসি করছিল। তার ধারণা, পুরো ঘটনা ভিডিওও করা হচ্ছে। তার কথায়, "এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। বন্দিদের উপর এ ধরনের নির্যাতন নিয়মিত রুটিনের মতো চলে।"

আরও ভয়ঙ্কর গল্প শোনালেন হালিম সালেম। তিনি বললেন, ইসরায়েলি রক্ষীরা তাকে একটি টয়লেটে নিয়ে গিয়ে জোর করে উলঙ্গ করে। তারপর একটি কুকুর দিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করানো হয়! সালেম বলেন, অসহ্য যন্ত্রণায় তিনি চিৎকার করলে, রক্ষীরা তাকে মারধর শুরু করে। কারণ, তার চিৎকারে কুকুরের 'কাজে' বিঘ্ন ঘটছে!

সালেমের চাঞ্চল্যকর দাবি, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির নিজে কারাগারে উপস্থিত থেকে এই নির্যাতন তদারকি করতে দেখা গেছে। বন্দিদের ওপর হামলার সময় তাকে হাসতে দেখেছেন সালেম।

ইসরায়েলি কারাগারগুলিকে 'নির্যাতন শিবির' বলে আগেই চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘের তদন্ত দল ও ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন 'বি'সেলেম'। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের দমনে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতাকে ইসরায়েল সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছে। এখন সাবেক বন্দিদের এই সাক্ষ্য সেই অভিযোগকেই জোরালো করছে।

 

news