জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সৎ ভাবে অর্থ উপার্জন করলে আপনাকে ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আর কালো টাকা উপার্জন করলে, দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্পদ লুন্ঠন করলে, রাষ্ট্রের টাকা পাচার করলে, ৭শতাংশ কর সেই টাকা দেশে ফেরত এনে ভোগ করতে পারবেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই সুযেগের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের পুরষ্কৃত করে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে। 
এদিকে বি এন পি'ও সরকারে থেকে দূর্নীতিতে ৪ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি সরকার দুর্নীতিতে জড়িত ছিল না। নব্বই পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে লক্ষ লক্ষ ডলার পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ফেয়ারফ্যাক্স নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে জাতীয় পার্টি সরকারের দূর্নীতি তদন্তে নিয়োগ করে। এই সংস্থা ছয় বছর তদন্ত করে জাতীয় পার্টির  দূর্নীতিতে জড়িত থাকার কোন প্রমাণ পায় নেই।

মজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, জাতীয় পার্টির কোন নেতাকর্মী দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিল না । জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে এই সকল দূর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
শনিবার পার্টি মহাসচিব মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

এ সময় তিনি জাতীয় পার্টি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টি উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, ঔষধ নীতি প্রনয়ন, মহকুমাগুলিকে জেলায় উন্নিত করণ, গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ সহ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে  বিভিন্ন উল্লেখ যোগ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় গেলে পাঁচ কোটি বেকারের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করবে। 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ হাসান সাঈদের সঞ্চালনায় মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এম পি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দঃ এর সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোঃ বেলাল হোসেন,  সম্পাদক মন্ডলির সদস্য মোঃ হুমায়ুন খান, , মিজানুর রহমান মিরু সহ জেলা, উপজেলা,  পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

news