ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংলিশদের বিধ্বস্ত করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের স্বল্প রানের পুঁজির বিরুদ্ধে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। ঐতিহাসিক এ সিরিজ জয়ে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। টাইগারদের সামনে ১১৮ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সাকিববাহিনী।
স্বল্প রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাস এবং রনি তালুকদার উভয়েই ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর শান্ত-হৃদয় জুটি চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। হৃদয় ১৭ রান করে ক্যাচ আউট হলেও পিচের ওপর প্রান্তে থিতু হন নাজমুল হাসান শান্ত। মিরাজের ১৬ বলে ২৫ রানের মারকুটে ইনিংসে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
এরপর মিরাজ-সাকিব-আফিফ দ্রুত আউট হলে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ ১২ বলে ১৩ রান দরকার ছিলো টাইগারদের। তবে আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক শান্ত আবারো নিজে সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। তার অপরাজিত ৪৬ রান ও তাসকিনের পরপর দুই চার মারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ৪ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায়। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা।
এর আগে, রোববার (১২ মার্চ) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মালান। এরপর আগ্রাসী বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ইংলিশদের চাপে রাখে টাইগাররা। সাকিবের অসাধারণ ক্যাচে ২৫ রান করে মাঠ ছাড়ে ফিল সল্ট। মঈনকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বাটলার।
তবে হাসান মাহমুদের অসাধারণ বোলিংয়ে ৪ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক। মঈন আলীকে ১৫ রানে ফেরান মিরাজ। ১৫তম ওভারে মিরাজের জোড়া উইকেটে শিকারে সাজঘরে ফেরেন স্যাম কারান ও ক্রিস ওকস। এতে দিশেহারা ইংল্যান্ড। জর্ডান (৩), রেহান আহমেদ (১১) ও বেন ডাকেটের (২৮) রানে আউটের মাধ্যমে শেষ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
এদিন মিরপুরে বাংলাদেশের হয়ে সবোর্চ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মেহেদী মিরাজ। ফলে তিনিই হন ম্যাচসেরা। এ ছাড়া তাসকিন, সাকিব, হাসান মাহামুদ ও মুস্তাফিজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এনবিএস/ওডে/সি