বোলারদের ব্যাটার বানাতে দুই বছর সময় লাগবে: জেমি সিডেন্স
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন জেমি সিডেন্স। তার প্রশিক্ষণে দারুণ ছন্দে রয়েছেন শান্ত-মিরাজরা। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পাইপ লাইন শক্ত করতে জাতীয় দল রেখে ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করছেন সিডেন্স। সিলেটের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। ফলোঅনে পড়া ম্যাচ বৃষ্টির সৌভাগ্যে ড্র হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার মাঠে নামার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেমি সিডেন্স।
সিডেন্স বলেন, একজন ব্যাটারকেই যেখানে ভালো ব্যাটার বানাতে অনেক সময় লাগে, সেখানে একজন বোলারকে ব্যাটার বানাতে সময় আরো বেশিই লাগার কথা। আশা করছি, দুই বছরের মধ্যে এই বোলাররা তেমন ব্যাটার হয়ে উঠবে, যাদের সহজে আউট করা যাবে না।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ব্যস্ত থাকা ক্রিকেটারদের মাত্র কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার বাস্তবতা মেনেও নিজের বিরক্তি প্রকাশ করলেন সিডন্স। সেই সঙ্গে শিষ্যদের কাছে লম্বা সময় ব্যাটিং করার দাবিও রাখলেন তিনি। যুগান্তর
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু আরো ভালোভাবে ডিফেন্ড করতেই পারি, আরেকটু ধৈর্য ধরতেই পারি। আমি দেখতে চাই, ব্যাটাররা ছয় ঘণ্টা ব্যাটিং করছে। দ্রুত ৩০ কিংবা দৃষ্টিনন্দন ২০ রানের ইনিংস আমি দেখতে চাই না। আমার চাওয়া, দিনের শেষে বেলস ফেলে দেওয়া পর্যন্ত ওরা ব্যাটিং করুক এবং পরের দিনও ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুক। ওরা যেন কোচ এবং অধিনায়ককে ইনিংস ঘোষণার সুযোগ তৈরি করে দেয়। চার দিনের ক্রিকেট তো এ রকমই, যেটি অল্প রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার নয়।
তিনি আরো বলেন, প্রথম ম্যাচ দেখেই বোঝা গেছে যে ওরা প্রচুর সাদা বলের ক্রিকেট খেলে এসেছে। এ কারণেই সম্ভবত ওরা ইনিংসের শুরুতেই প্রচুর শট খেলেছে। যথেষ্ট পরিমাণে বল ছাড়েনি বা ডিফেন্ড করেনি। আশা করছি, দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ওরা মানিয়ে নেবে। মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতিতে অবশ্য সাদা বলের খেলা থেকে বেরিয়ে আসা সহজও নয়।
এনবিএস/ওডে/সি


