ছোট লক্ষ্য। শুরু ভালো হলেও হঠাৎ ছন্দপতন। এরপর তীব্র লড়াই, নখ কামড়ানো মুহূর্ত। শেষমেষ বিজয় হাসি।
শারজাহতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের চিত্র একরকম। প্রতিটি ম্যাচের রিপোর্ট যেন আগের ম্যাচের হুবহু পুনরাবৃত্তি।
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে মাঠে নামে। এদিন ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ১২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে। আগের দুই ম্যাচে বল বাকি ছিল যথাক্রমে ৮টি ও ৫টি।
বড় রান না হওয়ায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পূর্ণ আমেজ না মেলায়ও প্রতিটি ম্যাচ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। তিন ম্যাচে আফগানিস্তান প্রথম ব্যাটিং করেছে। দিনকে দিন রান কমেছে। প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫১, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪৭, আজ ৯ উইকেটে ১৪৩।
বাংলাদেশের নতুন নায়ক সাইফ হাসান শারজাহতে ছক্কা বৃষ্টি নামান। ৩৮ বলে ৭ ছক্কা ও ২ চারে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ব্যাটিংয়ের প্রতিটি শট যেন শিল্পীর ক্যানভাসে তুলির আঁচড়, মুগ্ধ করেছে দর্শক।
এর আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে মাত্র তিনবার। সর্বশেষ ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে। অপর দুটি ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে এবং ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার আফগানদের দাপুটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে আফগানদের ২-০ হারের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আজও বোলিংয়ে বাংলাদেশ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়েছে। আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে এক মুহূর্তের জন্যও ছাড় দেননি। নিয়মিত উইকেট নিয়ে তাদের থিতু হতে দেননি, রানের চাকাতেও লাগাম টেনে রেখেছেন।
স্কোরবোর্ডে রান যখন ৯৮, আফগানিস্তানের ৮ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সেখান থেকে ১৪৩ রান করা কেউ কল্পনাও করছিল না। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারি এসেছে মুজিব ও দারউইসের ব্যাট থেকে। দারউইস ৩২, মুজিব ২৩ রান করে মান রাখেন।
সাইফুদ্দিন তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।
ব্যাটিংয়ে ছোটখাটো ধসও হয়েছিল। ওপেনার ইমন ১৪ রানে আউট। তানজিদ ৩৩ রানে ফেরেন। জাকের ও শামীম দলকে কিছুটা খাদের কিনারায় ফেলে আসেন।
শেষে সাইফ ও সোহান মাঠে এসে জয়ের পতাকা উড়ান। এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।


