আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিগ ব্যাশের নতুন আসর। ফাইনাল হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি। একই সময়ে বিপিএলও হওয়ার কথা থাকলেও এবার বিপিএলে খেলার পরিবর্তে বিগ ব্যাশকে বেছে নিয়েছেন রিশাদ। বিসিবি থেকেও তিনি সব ম্যাচ খেলার অনুমতি পেয়েছেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত? হোবার্ট হারিকেনসের সংবাদ সম্মেলনে মিলেছে উত্তর। আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর আজ সকাল সাতটায় হোবার্টের সঙ্গে দেখা করেন রিশাদ।
রিশাদ বলেন, “একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে, যদি আমি এই বিদেশী লিগে খেলতে পারি, তাহলে এটি আমার জন্য এবং আমার বোলিংয়ের জন্য ভালো হবে। আমি আমার দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ পাব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, খেলার উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি। তারপর ভাবলাম, যদি এই লিগগুলোতে খেলতে পারি, তাহলে এটি আমার জন্য উপকারী হবে। ম্যাচগুলো বিভিন্ন ভেন্যুতে হবে—এটা আমার স্বপ্নের মাঠ।”
রিশাদকে দলে নেওয়ার পেছনে বড় ভুমিকা রেখেছেন রিকি পন্টিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন রিশাদ। বিশ্বকাপের ম্যাচেই হোবার্টের হেড অব স্ট্র্যাটেজি রিকি পন্টিংর নজর কাড়েন তিনি।
রিশাদ বলেন, “ছোটবেলায় পন্টিং আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। আমি তার খেলা দেখতাম। সত্যিই অধীর আগ্রহে তার সাথে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি, আমি রিকি পন্টিংয়ের কোচিংয়ে খেলতে চাই।”
পাকিস্তান সুপার লিগের পর বিগ ব্যাশে খেলবেন রিশাদ। তিনি বলেন, “বিদেশী লিগ অনেক কিছু অফার করে। শীর্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করে নেওয়া যায়। আশা করি নতুন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা পাব।”
সাকিব আল হাসানের পর প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন রিশাদ। ২০১৪ সালে সাকিব অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি ও ২০১৫ সালে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে রিশাদ ড্রাফট থেকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি।
দল পাওয়ার পর থেকেই হোবার্ট হারিকেনসে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন রিশাদ। গতবার খেলতে পারেননি, তবে তাসমানিয়ার শহরটি ভালোভাবে দেখেছেন। তিনি বলেন, “হোবার্ট যখন আমাকে ড্রাফট করে, তখন আমি গুগল করি। দেখতে পাই শহরটি সুন্দর ও শান্ত।”
রিশাদ আরও যোগ করেন, “একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে আমার কাজ হলো পাওয়ার প্লের পর উইকেট নেওয়া। আশা করি হোবার্টেও তা অব্যাহত থাকবে। আমি আমার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং প্রতিদিন উন্নতি করার চেষ্টা করি—যত ছোটই হোক না কেন।”


