রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপে দুই সেমিফাইনালেই হয়েছে চরম উত্তেজনা। প্রথম সেমিফাইনালে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান লড়াই হয়েছে সমানে সমান। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে পাকিস্তান শাহিনস।
আগামীকাল দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও পাকিস্তান শাহিনস। ম্যাচটি শুধু ফাইনালই নয়—বাংলাদেশের সামনে ২০১৯ সালের সেই যন্ত্রণাদায়ক পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ারও সুযোগ। ওই বছর ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান ‘এ’ দল বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৭৭ রানে।
বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মাত্র একবারই ফাইনাল খেলেছে। তাই এবার জয় পেলে সেটি হবে নতুন ইতিহাস।
টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় শ্রীলঙ্কা ‘এ’। পাকিস্তান ৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৬২ রানে ধুঁকছিল। তবে ষষ্ঠ উইকেটে গাজী ঘোরি ও সাদ মাসুদের ৪৭ রানের জুটিতে দল পায় ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৩ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। গাজী ঘোরি অপরাজিত ৩৯ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে প্রমোদ মাদুশান ৪ উইকেট, ট্রেভিন ম্যাথু ৩ উইকেট নেন। মিলান রত্নায়েকে ও ভেল্লালাগে একটি করে উইকেট পান।
১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান তোলে শ্রীলঙ্কা ‘এ’। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। উবাইদ শাহর ওভারের প্রথম বল বাউন্ডারি হলেও আর উঠে আসেনি ম্যাচে। বরং ২ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা থামে ১৪৮ রানে।
সাদ মাসুদ বল হাতে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের নায়ক। ব্যাট হাতে খেলেন ২৫ বলে ২২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তার সতীর্থ সুফিয়ান মুকিমও ৩ উইকেট নেন মাত্র ১২ রান দিয়ে। আহমেদ দানিয়াল, শাহিদ আজিজ ও উবাইদ শাহ নেন ১টি করে উইকেট।
এশিয়া কাপে কারা কারা চ্যাম্পিয়ন?
শ্রীলঙ্কা – ২ বার
পাকিস্তান – ২ বার
ভারত – ১ বার
আফগানিস্তান – ১ বার
সর্বশেষ ২০২৪ সালের আসরে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আফগানিস্তান ‘এ’। ভারত প্রথম আসরেই (২০১৩) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর পর ২০২৩ সালে ভারত ‘এ’–কে ১২৮ রানে হারিয়ে পাকিস্তান নেয় প্রতিশোধ।
