অস্ট্রেলিয়া ওপেনার উসমান খাওয়াজার পিঠে গুরুতর চোট লাগায় তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং না করার পর খাওয়াজার চোট আরও বেড়েছে—তবুও মাঝের সারিতে তার ভূমিকার ওপর আস্থা রাখছেন তিনি।
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হয়েছিল গতকাল। কিন্তু কেউই ভাবেনি দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে! দুই দলের বোলারদের দাপট আর ট্র্যাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচ শেষ হয়েছে রেকর্ড কম সময়েই।
প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্ক আগুন ঝরিয়ে ইংলিশদের ৭ উইকেট তুলে নেন। তারপর জোফরা আর্চার ও বেন স্টোকস পাল্টা আক্রমণে অজি ব্যাটিংকে চাপে ফেলে দেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ট্র্যাভিস হেড একাই ম্যাচ টেনে নেন অস্ট্রেলিয়ার হাতে।
প্রথম ইনিংসে খাওয়াজা ওপেন করতে নামেননি। তার অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং ভেঙে পড়ে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়, এবং ইংল্যান্ড পায় ৪০ রানের লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের সময় মাথার ওপর লাফ দিয়ে ক্যাচ নিতে গিয়ে পুরোনো পিঠের চোট আবারও ফিরে আসে। ম্যাচ শেষে কামিন্স নিশ্চিত করেন—এটাই খাওয়াজার না নামার মূল কারণ।
কামিন্স ফক্স ক্রিকেটকে বলেন—
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে উজি খুব একটা নড়াচড়া করতে পারছে না। স্লিপে লাফ দিতে গিয়ে পিঠের সমস্যা আবার দেখা দিয়েছে, তাই সে ওপেন করতে পারেনি।”
তিনি আরও যোগ করেন—
“আশা করি, মাঝের সারিতে সে এখনও কিছু ভূমিকা রাখতে পারবে।”
অজি শিবির আশা করছে, চোট খুব গুরুতর না হলে খাওয়াজা পরের টেস্টেও ফিরতে পারবেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিলেক্টরদের আগেই সমালোচনা করা হচ্ছিল—৩০ বছরের কম মাত্র এক ক্রিকেটার (ক্যামেরন গ্রিন) রাখার কারণে।
আর সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয় ৩৯ বছর বয়সী উসমান খাওয়াজাকে নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি যতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, বিশ্লেষকরা ঠিক ততটাই সন্দেহপ্রবণ ছিলেন— বয়সের সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোর দৃষ্টিগোচর রানের অভাবও ছিল তাদের উদ্বেগের কারণ।
এত চোট-সমস্যার মধ্যেও ব্রিসবেনে যাওয়ার আগে একটাই বড় স্বস্তি—পার্থে জিতে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
গ্যাবা টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, আর বড় বিরতি থাকলেও অস্ট্রেলিয়া স্বস্তিতে থাকার সুযোগ পাচ্ছে না।
ম্যাচ শেষে ট্র্যাভিস হেডের ঐতিহাসিক ইনিংস নিয়ে রিকি পন্টিং বলেন—
“ব্যাট আর হেলমেট তুলে এই দর্শকদের সালাম দেওয়া উচিত—ওরা টেস্ট ইতিহাসের সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি দেখেছে।”
