অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিলেন এক অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে। পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়ামে শনিবার ২২ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তিনি মারলেন ৬৯ বলের এক ঝড়ো সেঞ্চুরি। বাঁহাতি এই ব্যাটারটি টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়লেন।
উসমান খাওয়াজা ইনজুরির কারণে না খেলায় হেডকে ওপেন করতে নামতে হয়। এই সুযোগটাকে তিনি পুরোদমে কাজে লাগান। ২০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম উইকেট জুটিতে জেক ওয়েদারল্ডের সাথে তিনি যোগ করেন ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। ওয়েদারল্ড ২৩ রানে আউট হলেও, হেড তার আক্রমণ থামাননি।
ট্রাভিস হেড ২২তম ওভারে একটি সিঙ্গেল নিয়ে পৌঁছে যান তার সেঞ্চুরিতে। তিনি মাঠে নামার পর থেকেই দাপট দেখিয়েছেন, পার্থের চ্যালেঞ্জিং পিচেও তিনি পাল্টা আক্রমণ চালিয়েই গেছেন। মাত্র ৬৯ বলে এই সেঞ্চুরিটি দশম ক্যারিয়ার সেঞ্চুরি। তিনি হেলমেট খুলে করতালি দেয়া দর্শকদের অভিবাদন জানান। অস্ট্রেলিয়ার যখন সবচেয়ে বেশি তার দরকার ছিল, তখনই তিনি এই অসাধারণ ইনিংসটি খেলেন।
ট্রাভিস হেড অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিকারক হলেন। এর আগে শুধু অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৫৭ বল) এবং জ্যাক গ্রেগরি (৬৭ বল) তার চেয়ে কম বলেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
এটি অ্যাশেজের ইতিহাসেও দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। গিলক্রিস্ট ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। হেডের এই ইনিংসটি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি। ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এই ফরম্যাটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডধারী।
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রাথ বলেছেন, ট্রাভিস হেড চাপের মধ্যেও দারুণ পারফর্ম করেছেন। তিনি এমনকি মজা করে বলেছেন যে উসমান খাওয়াজার ইনজুরিই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল, কারণ তাতেই হেডকে ওপেন করতে দেখা গেছে।
হেডের এই বিস্ফোরক ইনিংসটি শেষ হয় যখন তিনি ব্রাইডন কার্সের একটি বলকে পুল করতে গিয়ে টপ-এজ করেন, এবং ওলি পোপ কatch ধরেন ফেলে। মারনাস লাবুশেন এবং ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা তার এই অসাধারণ ইনিংসের প্রশংসা করেন।
পার্থের ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের দিয়ে বিদায় জানান ট্রাভিস হেড। তিনি ৮৩ বলে ১২৩ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ১৬টি চার এবং ৪টি ছক্কা। তার এই একক প্রচেষ্টাই ম্যাচের গতিপথ অস্ট্রেলিয়ার অনুকূলে নিয়ে আসে।
