গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ভারত যখন চাপে, তখনো রিশভ পান্ত তার সেই পুরোনো স্টাইল – আগ্রাসী শটে লড়াই করা। অধিনায়কত্ব করছেন এবার, কিন্তু স্টাইল বদলায়নি।
প্রথমে সাইমন হার্মারের অফ-স্পিনে ছক্কা মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা। ধ্রুব জুরেল আউট হওয়ার পর কিছুক্ষণ সাবধানী। চা-বিরতির পর মার্কো জানসেনকে চার্জ করে গেলেন। কিন্তু এবার প্ল্যানটা বুমেরাং হয়ে ফিরল!

জানসেনের গুড লেংথ বলে পান্ত ছুটে গেলেন বড় শট মারতে। পরিষ্কার কানেক্ট হলো না, পাতলা এজ লেগে বল চলে গেল উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনের গ্লাভসে। মাত্র ৮ বলে ৭ রান করে ফিরলেন ভারতের স্ট্যান্ড-ইন ক্যাপ্টেন। রিভিউও নষ্ট! ভারত তখন ১০৫/৪, আরও বিপদে।
কলকাতার প্রথম টেস্টেও একই গল্প। করবিন বোশের বাউন্সারে লেগ সাইডে এজ দিয়ে ক্যাচ, ২৪ বলে ২৭। দ্বিতীয় ইনিংসে হার্মারের ৯১ কিমি গতির ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ, মাত্র ২ রান। এই সিরিজটা পান্তের ইনজুরি থেকে ফেরার সিরিজ, কিন্তু রান একদমই নেই।

সাবেক উইকেটকিপার পার্থিব প্যাটেল বললেন, “এটা পান্তের থেকে নতুন কিছু না। এমন হাই-রিস্ক শট সে প্রায়ই খেলে। কখনো দারুণ বাউন্ডারি হয়, কখনো উইকেট যায়। এটাই তার স্টাইল। রিভার্স স্কুপ করে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়েছে অনেকবার। যখন শটটা সুন্দর হয় তখন সবাই প্রশংসা করে, আউট হলে সমালোচনা। হাই-রিস্ক খেললে এমনই হবে।”

আকাশ চোপড়া বললেন, “এটা একদম রেকলেস ব্যাটিং। পান্ত দু-ধারী তলোয়ার। এখন সমালোচনা করলে পরে প্রশংসা করার অধিকার হারাবেন। পান্তের ক্ষেত্রে সমালোচনা সবসময় রেজাল্টের ওপর নির্ভর করে। রান করলে হিরো, না করলে জিরো। এই সিরিজে সে রানই করতে পারেনি, এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। তবে সে ইনজুরি থেকে ফিরছে, এটাও মনে রাখতে হবে।”

news