৩০০’র বেশি রান করেও ভারত হেরে গেলো নিউজিল্যান্ডের কাছে

বৃষ্টি বিঘ্নিত টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারতই জয় করে নিয়েছিলো। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার পর প্রথম ম্যাচে ৩০০ প্লাস রান করেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হরো ভারতকে।

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে প্রথম ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনদের কাছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারলো শিখর ধাওয়ানের দল। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৬ রান তোলে ভারত। হাফ সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান, শুভমান গিল এবং শ্রেয়াস আয়ার।

ম্যাচ জিততে পারল না ভারত। বোলারদের ব্যর্থতাতেই মূলত হারতে হলো ভারতকে। ১৭ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। টম ল্যাথাম দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি করেন। কেনে উইলিয়ামসও সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েছিলেন। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন কিউইরা।

শুক্রবার শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়েছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠালেও ধাওয়ানরা শুরু থেকেই রানে ছিলেন। ৭৭ বলে ৭২ রান করলেন ধাওয়ান। শুভমান ৫০ রান করলেন ৬৫ বলে। দুজনে মিলে ১২৪ রানের জুটি গড়েন। তিন নম্বরে নেমে রান করলেন শ্রেয়াসও।

ভারতের দুই ওপেনার দ্রুত ফিরে গেলে ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল শ্রেয়াস এবং রিশাভ পান্তের কাঁধে। শ্রেয়াস নিজের দায়িত্ব পালন করলেও ব্যর্থ হলেন পান্ত। ১৫ রানের মাথায় বোল্ড হলেন তিনি। ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার। তিনি মাঠে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন। পরের বলে রান পাননি। তৃতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে গেলেন সূর্যকুমার।

পন্ত সূর্যকুমার রান না পেলেও ৩৬ রান করেলেন সাঞ্জু স্যামসন। পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া ভারতকে উদ্ধার করলেন তিনি এবং শ্রেয়াস। ৯৪ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ বেলায় ১৬ বলে ৩৭ রান করে যান ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি না থাকলে ভারত ৩০০ রানের গণ্ডি পার করতে পারত কি না সন্দেহ। শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন শ্রেয়াসও। সাউদির বলে আউট হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তিনি। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তোলে ভারত।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন সাউদি এবং ফার্গুসন। ১টি উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে। সাউদি উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৭৩ রান দেন। ফার্গুসন দেন ৫৯ রান। উমরান মালিক অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ২টি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান শার্দূল ঠাকুর। কিন্তু বাকিরা কেউ উইকেট পেলেন না। উইলিয়ামসন এবং টম লাথাম ২২১ রানের জুটি গড়েন।

news