বাজারে অনেক সুস্বাদু ফল কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এলাকায় এবার ৫০ টাকা কেজিতে অনুপম কলা বিক্রি করছেন পারভেজ মিয়া নামে এক কলা ব্যবসায়ী। নতুন এ পদ্ধতি অনেক ক্রেতাকেই আকৃষ্ট করছে এবং ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কেজিতে কলা কিনতে দেখা গেছে।

জৈষ্ঠ মাসের পড়ন্ত বিকেলে হিলি স্থলবন্দর এলাকার চারমাথা মোড়ে মসজিদের পাশে ভ্যানে করে কেজিতে অনুপম কলা বিক্রি করতে দেখা গেছে, হিলি পৌর শহরের ধরন্দা এলাকার কলা ব্যবসায়ী তার ভ্যানে কলা সাজিয়ে দোকান বসিয়েছেন। ভ্যানের উপরে তিনি ডিজিটাল মেশিনে (ওয়েট মেশিন) দিয়ে কলার মাফ দিচ্ছেন। ৫০ টাকা কেজি দরে পাকা অনুপম কলা বিক্রি করছেন। প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ৯টি কলা পাওয়া যাচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় আকারের অনুপম কলা এক হালি (৪টি কলা) ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর মালভোগ ও শফরি এক হালি (৪টি কলা) ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর ছোট আকারের চিনিচাম্পা কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা হালিতে।

কলা কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম জানান, বাজারে অনেক ফল কেজিতে বিক্রি করতে দেখেছি। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতিতে কলা বিক্রি আজ প্রথম দেখলাম এবং কলা গুলো ভালো তাই পরিবারের জন্য কিনে নিলাম।১ কেজি সাতশত গ্রাম অনুপম কলা কিনলাম, তাতে সাড়ে ৩ হালি (১৪টি) কলা পেয়েছি। এতে আমার দাম পড়েছে ৮০ টাকা। বাজারে হালি হিসেবে কিনতে গেলে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা লাগতো। 

অপর ক্রেতা নাসিম আহম্মেদ জানান, এতো দিন হালি হিসেবে কলা কিনেছি আজ কেজিতে অনুপম কলা কিনলাম। কলা গুলো দেখতেও সুন্দর। তাই বাড়িতে মা ও ছেলে মেয়ের জন্য ২ কেজি কিনলাম। তাতে আমি চার হালি একটা কলা পেয়েছি। এতে আমার লাভ হয়েছে। হালি হিসেবে কিনতে গেলে আমার ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা লাগতো। 

কথা হয় কলা ব্যবসায়ী পারভেজ মিয়ার সাথে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে হিলিতে কলার ব্যবসা করছি। এই অনুপম কলা গুলো সাতক্ষীরা থেকে নিয়ে এসেছি। হালি হিসেবে কলা গুলো বিক্রি করলে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু কেজিতে কলা বিক্রি করায় আমার বিক্রি বেশি হচ্ছে। আমার বেশি লাভের দরকার নাই কেজিতে ৭-৮ টাকা লাভ হলেই চলবে। কেজিতে বিক্রি করায় অনেকেই শখ করে কলা নিচ্ছে।মালভোগ, শবরি, সাগর, চিনিচাম্পা কলা হালি হিসেবে এতো দিন বিক্রি করেছি। কেজিতে বিক্রি করায় বিক্রিও বেশি হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি করে কলা নিয়ে আসবো এবং বিক্রি করবো। 

news