আজ বুধবার (০১ জুন) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হল (৩য় তলা) বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা ও স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির যৌথ উদ্যোগে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা, সংবাদপত্র জগতের পথিকৃৎ ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে “নির্ভীক সাংবাদিক-সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম” শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক এস. এম. জামাল উদ্দিন। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ আবু বকর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজনীতিবিদ ডাঃ দিলীপ রায়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, প্রিন্সিপাল আলী আহমদ, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিরুল হক, সহ-সভাপতি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন কুসুম, সাকিবুল ইসলাম শাওন, ক্বারী মোহাম্মদ আবদুল মোমিন, তালুকদার জহিরুল হক তুহিন, মিজানুর রহমান মিলন প্রমুখ।  

আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, “নির্ভীক সাংবাদিকতা কিংবদন্তী পুরুষ হলেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। বাংলাদেশ রচনায় তাঁর অবদান চিরোজ্জ্বল। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করেননি। তাঁর কাছ থেকে জাতির অনেক কিছু শেখার আছে।” তাঁরা বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। তাঁর বলিষ্ঠ লেখনী বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছিল। তাই বঙ্গবন্ধু সে সময় সাড়ে সাত কোটি মানুষের নয়নমণি ছিলেন।  বঙ্গবন্ধুর সহযোগী শক্তি হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।” 

বক্তাগণ আরো বলেন, “দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে অবলম্বন করে সারাজীবন মানিক মিয়া এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সম্মুখযোদ্ধা ছিলেন। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া আমৃত্যু নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সেজন্য তিনি বাংলার মানুষের কাছে নির্ভিক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।” আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ক্বারী আলমাস হোসেন গাজীপুরী। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

news