অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. মেহেদী হাসান চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ। তাদের মধ্যে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রিয়াজ মাহমুদ আয়নালও রয়েছেন। 

মেহেদী হাসান চৌধুরীর নামে ডিএমপি আদাবর থানা ও রিয়াজ মাহমুদ আয়নালের নামে জিএমপি বাসন থানায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা রয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ থানার ওসি মো. শাহিন উদ্দিন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেপ্তার 
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের সৌমিত্র সরকার। তবে অপর দুজনের নাম এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। আটক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রাইভেটকার চালকও রয়েছেন। 

ঢাকা পোস্টকে দেওয়া পুলিশের তথ্যে জানা যায়, স্থলপথে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য পাচার চক্রের স্থানীয় এজেন্ট আকরামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গাজীপুরের রিয়াজ মাহমুদ আয়নাল। তারা একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করেন এবং মহেশপুর সীমান্তে যাওয়ার জন্য ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা করেন। এ তথ্য জেনে বেলা দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা শহরের প্রধান বাসস্ট্যান্ডে তল্লাশি শুরু করা হয়। 

এক পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা প্রাইভেটকারটি সনাক্ত করেন এবং তাদের থানায় নিয়ে যান। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা এ খবর গোপন রাখা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে ঝিনাইদহ পুলিশ রাত ৯টার দিকে নিশ্চিত হন আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী রয়েছেন, তিনি ঢাকার আদাবর থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। 

গ্রেপ্তারদের ঝিনাইদহ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

news