ঈদকে উপলক্ষ্য করে নতুনভাবে চালু হয়েছে ১৯০টি সিনেমা হল
প্রযোজক পরিচালক অনন্য মামুন ঈদের ছবি মুক্তি নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, শাকিব খান বুবলী অভিনীত ‘বিদ্রোহী’ ছবিটি ১০২ হলে মুক্তি পাচ্ছে। তিনি ‘শান’ ও ‘গলুই’ ছবিরও শুভ কামনা করেছেন। ‘গলুই’ ছবির পরিচালক বলেছেন, তারা ৩০টির মতো সিনেমা হল পেয়েছেন। আরো কথাবার্তা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত বুকিং চলবে। ‘শান’ ছবিটিও সময়ের বিবেচনায় ভালো ভালো সিনেমা হল পেয়েছে।
তবে সবাই এই নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি আরো একটি তথ্য দিয়েছেন অনন্য মামুন। সেটা হলো নতুন করে ১৯০টি সিনেমা হল চালু হয়েছে। অনন্য মামুনের এই পোস্টটিতে একজন মন্তব্য করেছেন, হল মালিককে আর্থিকভাবে সুবিধা প্রদান করা হলে তারা ছবি নিবে না কেন? প্রশ্ন এখানে নয়। এবারের ঈদে কোন সিনেমাটি কয় হলে মুক্তি পেল তা নিয়ে সময় অপচয় না করে চলচ্চিত্রশিল্পের বড় প্রাপ্তি হলো নতুনভাবে ১৯০টি সিনেমা হল খুলেছে। আগের সিনেমা হলসহ ধরা প্রায় ৩শ’য়ের কাছাকাছি সিনেমা হল কার্যক্রম শুরু করেছে। মহামারি আছে। কিন্তু তার মধ্যেই এতোগুলো সিনেমা হল খোলাকে চলচ্চিত্রশিল্পের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের দিকে যাওয়ার একটি সোপান হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। নির্মাতা এবং দর্শকের উচিত হল মালিকদের নতুনভাবে জেগে উঠা স্পৃহাকে ধরে রাখা। যদি ঈদের ছবিগুলো হল মালিকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে তাহলে বন্ধ হওয়া সিনেমা হলগুলোর আরো অনেকগুলোই খুলবে। দর্শক এ্যাপসের ছবি দেখতে চায় না। তারা চায় বিনোদন। সেই পুরনো দিন থেকেই বিনোদন উপভোগ হয়ে আসছে সমষ্টিগতভাবে।
গুহাচিত্র থেকে যাত্রাপালা পর্যন্ত সেই চিত্রই আছে। সামাজিকতা থেকে মানুষের প্রতিভা এবং মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক নিয়মে হয়ে থাকে। বিনোদন সমাজের একটি অনুপ্রেরণাদায়ক উপকরণ। সেটা সমষ্টিগতভাবে উপভোগ করতেই সকলে ভালোবাসেন। এ্যাপস হলো একক, নাটকের মতো কখনো কখনো পারিবারিকভাবে উপভোগ করা হয়ে থাকে। কিন্তু তাতে সামগ্রিক আনন্দ নেই। এজন্য সিনেমা হলই দর্শকের কাছে ভরসা।