দক্ষিণ ভারতের জঙ্গলে যত শিয়াল থাকুক না কেন, রাজা সবসময় সিংহ—এভাবেই মাঠ কাঁপালেন তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপতি বিজয়। রাজনীতিতে পা রাখার এই ঘোষণা কেবল আঞ্চলিক রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং জাতীয় রাজনীতিতেও এক নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির জন্য এটি নতুন সতর্ক সংকেত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দক্ষিণ ভারতে বিজেপির বিস্তার এখনও সীমিত। বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে এই দলের গ্রহণযোগ্যতা সবসময় কম ছিল। ভোটাররা মূলত আঞ্চলিক দলগুলোর প্রতি বেশি আস্থা রেখেছেন। এই প্রেক্ষাপটে বিজয়ের মতো সুপরিচিত তারকা যদি রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন, তা দক্ষিণ ভারতের ভোটের বাজারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং বিজেপির বিস্তারকে কঠিন করে তুলতে পারে।
জাতীয় পর্যায়ে মোদির জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, বিতর্কিত নীতিমালা এবং বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান ঐক্য বিজেপিকে চাপের মুখে ফেলেছে। দক্ষিণ ভারত থেকে বিজয়ের মতো নতুন নেতৃত্ব উঠে এলে এটি মোদি ও তার দলের জন্য বড় সতর্ক সংকেত হতে পারে।
যদিও বিজয়ের দল এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবু তিনি ইতিমধ্যেই তরুণ সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। একজন তারকা হওয়ার পাশাপাশি সমাজ সচেতন ও শিক্ষাবান্ধব বক্তব্যের জন্যও তিনি জনপ্রিয়। এই বৈশিষ্ট্য তাকে দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং অনেকেই মনে করছেন, তার নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে কংগ্রেস, ডিএমকে, টিডিপি মতো আঞ্চলিক দলগুলো ইতিমধ্যেই শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। বিজয় যদি সফলভাবে নিজের অবস্থান গড়ে তোলেন, তবে বিজেপির আঞ্চলিক স্বপ্ন আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে প্রবেশ ভারতীয় রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এখনই মোদির পতনের কথা বলা যায় না, তবে বিজয়ের আগমন যে বিজেপির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ভবিষ্যতে এটি ভারতের রাজনীতিতে বড় রূপ নিতে পারে।
