ইয়াসিন মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টার নিন্দা কাশ্মীরী নেতাদের

ভারতের কারাগারে আটক স্বাধীনতাকামী নেতার স্ত্রী ও ভারত শাসিত কাশ্মীরের নেতারা তাকে মৃত্যদণ্ড দেওয়ার বিরুদ্ধে দিল্লীর সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।

মোহাম্মাদ ইয়াসিন মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা(এনআইএ) চেষ্টা করছে। একজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ ভারত শাসিত বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরের অনেক রাজনৈতিক এর কড়া সমালোচনা করেছেন।

কাশ্মীরের শেষ নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ও একটি আঞ্চলিক দলের নেত্রী মাহবুবা মুফতি শনিবার বলেন, ‘ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকরীদের ক্ষমা করার নজীর রয়েছে সেখানে ইয়াসিন মালিকের মতো একজন রাজবন্দীর মামলা অবশ্যই ‘পর্যালোচনা ও পুণর্বিবেচনা করা দরকার।’

তিনি টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘যারা মালিকের ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ের প্রতি উৎফুল্ল হয়ে সমর্থন জানাচ্ছেন তারা আমাদের সম্মিলিত অধিকারের প্রতি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছেন।

কাশ্মীরের আরেকটি ভারতপন্থী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স মুখপাত্র সারাহ হায়াত শাহ বলেছেন, ‘মালিকের ‘সুষ্ঠু বিচার’ লাভের অধিকার রয়েছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তাতে কেউই লাভবান হবে না।

পিপলস কনফারেন্স পার্টির নেতা সাজেদ লোন এক দীর্ঘ বিবৃতিতে বলেছেন, মালিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টা একটি বিপজ্জনক কাজ। তিনি ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা কাশ্মীরীদের শান্তিতে থাকতে দাও।
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ৫৭ বছর বয়েসী ইয়াসিন মালিক গত বছর তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে ভারত সরকারের নিয়োগ করা কোন আইনজীবীকে গ্রহণ করতে বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানান। বিচার চলাকালে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী।

গত বছর মে মাসে মালিক আদালতে বলেন, তার ও তার দল জেকেএলএফের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূত, ভুয়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মালিক আদালতকে আরো বলেছেন, তিনি সাত জন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি প্রমাণ করতে পারে যে,গত ২৮ বছরে তিনি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন এবং মৃত্যুদণ্ড মেনে নেবেন। এর আগে আদালত মালিককে মৃত্যুদণ্ড দানের এনআইএর আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। গত শুক্রবার এনআ্ইএ দিল্লির হাইকোটে তার মৃত্যুদানের জন্য ফের আবেদন জানিয়েছে। সোমবার (২৯ মে) এ আবেদনের ওপর গুণানী হবে।

ক্যাপশন: ইয়াসিন মালিক ভারতীয় বিচারককে বলেছেন, আজাদী বা স্বাধীনতা দাবি করা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমি এমন অপরাধ মেনে নিতে প্রস্তত।

এনবিএস/ওডে/সি

news