ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা
প্রাইভেট সেনা সংগঠন ওয়াগনারের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ২৪ জুন, শনিবার ভোরে রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে তিনজন নিহত ও বহু হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করার মাধ্যমে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, ইউক্রেনের পাঁচটি অঞ্চলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিনি বলেন, কিয়েভে একটি বহুতল ভবনের ক্ষেপণাস্ত্র ভবনটির একটি অংশ ধসে পড়েছে। এতে তিনজন নিহত ও আট জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, ইউক্রেন লক্ষ্য করে রাশিয়া ৫১টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও একাধিক ড্রোন ছোঁড়ে। তবে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইতিমধ্যে ৪১টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। এছাড়া দুটি ড্রোনও ধ্বংস করেছে।
একটি পৃথক পোস্টে কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো বলেছেন, ভূপাতিত ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলোর কারণে কিছু বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, কিয়েভের চারপাশে ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়, তার বেশিরভাগই ভূপাতিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ধ্বংসাবশেষ পড়ার ফলে একটি ২৪ তলা ভবনে আগুন লেগেছে এবং সাতজন আহত হয়েছে। এ সময় প্রায় ৪০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ের পরিবর্তে এখন উল্টো রুশ বাহিনীর জন্যই বড় হুমকি হয়ে উঠেছে তারা।
ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরে এবং দেশটির দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সদর দপ্তর দখলের পর রাশিয়া তার মস্কো অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
এছাড়াও ওয়াগনার প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ এনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে পুতিন প্রশাসন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


