মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে ফেলেছে, বললো ব্রাদারহুড প্রতিরোধ
যোদ্ধারাব্রাদারহুড প্রতিরোধ যোদ্ধা জোট জানিয়েছে, শান রাজ্যে অপারেশন ১০২৭’র আওতায় সামরিক ও মিলিশিয়াদের আরো সাতটি স্থাপনা দখল করেছে। শনিবার তাং প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, তারা মিলিশিয়াদের দুটি স্থাপনা দখল করে নিয়েছে।
তারা বলেছে, এসব স্থাপনা দখলের সময় তারা ৩৮ জন মিলিশিয়াকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে ৩৪ জন মিলিশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কমান্ডার স্থানীয় চারজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এসময় প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের কাছ থেকে প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনার পর সেনাবাহিনী পরিবহন বিমানে শক্তি বাড়ানোর জন্য সেনা পাঠিয়েছে দখল হয়ে যাওয়া টাউনশিপগুলোতে। এদিনই তাং লিবারেশন আর্মি মংমিট টাউনশিপের মো ল আউটপোস্টটি দখল করে একজন সেনাকে আটক করে।
ব্রাদারহুড জোটের অংশীদার মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) বলেছে, তারা ইতোমধ্যে কোকেন অঞ্চলের তিনটি সেনা পোস্ট দখলে নিয়েছে। এই অঞ্চলটি শান রাজ্যের প্রধান বিশেষ অঞ্চল নামেও পরিচিত।
এমএনডিএএ বলেছে, আরাকান আর্মি সহ তারা এক ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর চীন সীমান্তের কাছাকাছি আরো একটি সামরিক স্থাপনা দখল করে নিয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় এসময় একটি গ্রাম আগুনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। শনিবার এমএনডিএএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘জান্তা বাহিনী যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে আমাদের সম্মিলিত হামলার মুখে আত্মসমর্পণ করে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাদারহুড জোট ১০৬টি সেনা স্থাপনা ও চারটি শহর দখল করে নিয়েছে।
অপারেশন ১০২৭’র আওতায় ব্রাদারহুড জোটকে সম্মিলিত হামলায় সহায়তা করছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স, কাচিন ইনডিপন্ডেন্স আর্মি, কারেন্নি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স এবং বামার পিপল লিবারেশন আর্মি। এই অভিযানের আওতায় মিয়ানমারের অন্যান্য স্থানেও হামলা তীব্র করা হয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


