অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজও আটক করেছে ইসরাইল। শুক্রবার সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী নৌযান ‘দ্য ম্যারিনেট’ জোরপূর্বক থামিয়ে দেয় ইসরাইলি সেনারা। এতে ছয়জন আরোহী ছিলেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনার সময় লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা যায় ইসরাইলি বাহিনী অস্ত্রধারী অবস্থায় জাহাজে প্রবেশ করছে। এর আগে তারা ৪৩টি জাহাজ আটক করেছে এবং নৌবহরে থাকা অনেক অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

বিশ্বব্যাপী নিন্দা

ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে অনেক দেশ নিন্দা জানিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের একটি জঘন্য উদাহরণ।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হচ্ছে সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এই বহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান এবং অংশ নিয়েছেন ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক এবং সাংবাদিক।

যাত্রাপথ ও ইতিহাস

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান যুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কয়েকটি জাহাজ যোগ দেয়। বর্তমানে এই বহরে রয়েছে ৪০টির বেশি নৌযান।

ইসরাইলের অভিযোগ বনাম বাস্তবতা

ইসরাইল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে যে এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এতদিনেও এ অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করলেও, আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রচেষ্টা বারবার বাধাগ্রস্ত করছে ইসরাইল। এর ফলে শুধু ফিলিস্তিন নয়, গোটা বিশ্বে ক্ষোভ ও নিন্দা বাড়ছে।

 

news