মঙ্গলের লাল পাহাড়। আর দূর দিগন্তে নীলাভ আকাশ। এই অপূর্ব দৃশ্যপটের বুকে দাঁড়িয়ে আছে কিছু ক্যাপসুল। অত্যাধুনিক নকশায় তৈরি এই ক্যাপসুল পেরিয়ে কিছু দূর এগিয়ে গেলে দেখা মিলবে বেজ ক্যাম্পের। তারও একটু দূরে রয়েছে স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার। মরুর বুকে এমন স্থাপত্য দেখে যে কারোরও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব প্রায় ৩৫ কোটি কিলোমিটার। কিন্তু সেই দূরত্বকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে নামিয়ে এনেছে চীন। না, মঙ্গলগ্রহ দেখার জন্য পাড়ি দিতে হবে না কোটি কোটি কিলোমিটার। বরং পৃথিবীর বুকেই মঙ্গলগ্রহে চষে বেড়ানোর স্বাদ পাওয়া যাবে। চীনের উত্তর-পশ্চিমের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাংয়ে রয়েছে মঙ্গলের মতো দেখতে এই ভূমিরূপ।

স্পেস ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ফুটেজে দেখা যায়, গোবি মরুভূমির বুক চিরে গড়ে তোলা হয়েছে ফিউচারিস্টিক বেজ ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পের ইন্টেরিয়র ডিজাইনও উদ্ভাবনী।

দর্শনার্থীরা এসব ক্যাম্পে এসে মহাকাশচারীদের যন্ত্রপাতি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা কিংবা স্পেস স্যুট পরে মহাশূন্যে হাঁটার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

অনুভূতি মহাকাশচারীর মতো!
এক দর্শনার্থী জানান, "মহাকাশচারীরা কতটা সমস্যায় পড়েন, তা অনুধাবন করতে পেরেছি। কারণ আমার মাথা ঘুরিয়েছে আবার অস্বস্তিও লেগেছে।" আরেকজন দর্শনার্থী জানান, মঙ্গলগ্রহ ও পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য মেশিন থাকলে ভালো হতো। তবে এমন পরিবেশে আসার পর শিশুদের অ্যারোস্পেসের জ্ঞান অর্জন সহজ বলে অনেকেই এর প্রশংসাও করেছেন।

গোবি মরুভূমির ৬৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই 'মার্স বেজ ওয়ান' গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে এসে দর্শনার্থীরা মার্স প্রোব ও রোভারের রেপ্লিকা দেখতে পারবেন। রয়েছে নক্ষত্র দেখার তাঁবু ও থ্রিডি প্রিন্টেড মার্শিয়ান বাসস্থান। এখানে রয়েছে সিমুলেটেড রকেট লঞ্চার, ম্যানুয়েল স্পেসক্রাফট ডকিং এবং মঙ্গলগ্রহের মতো আবহাওয়ায় হাইড্রোপনিক প্লান্ট বেড়ে ওঠা দেখার সুযোগ।

 

news