রাশিয়া এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে — এমনটাই নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শনিবার (৮ নভেম্বর) তিনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানান। খবরটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক পোস্ট।

ল্যাভরভ জানান, এই পদক্ষেপ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরাসরি নির্দেশে নেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসলো রাশিয়া

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, দেশটি তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের সেই ঘোষণার পরই মস্কোও নিজেদের প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,

“৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আমরা তার বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং জনগণকে ফলাফল জানানো হবে।”

ট্রাম্পের বক্তব্যে দ্বিধায় মস্কো

ল্যাভরভ আরও বলেন,

“ট্রাম্প ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন—পূর্ণমাত্রার পারমাণবিক পরীক্ষা নাকি সাবক্রিটিক্যাল পরীক্ষা—তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে মনে হচ্ছে, তিনি সত্যিই পূর্ণমাত্রার পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।”

‘সমান শক্তি প্রদর্শনের’ ইঙ্গিত ট্রাম্পের

ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ও চীনের মতো শক্তিধর দেশের সঙ্গে সমান অবস্থানে থাকতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও পারমাণবিক পরীক্ষার দৌড়ে ফিরতে হবে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন,

“অন্যান্য দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, তাই আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি আমাদেরও দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু করতে।”

তিন দশক পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেরা

১৯৯২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। সে সময় থেকে দেশটি স্বেচ্ছায় একটি পরীক্ষা স্থগিত চুক্তি মেনে চলছে। বর্তমানে, উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ যারা প্রকাশ্যে পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের গোপন ক্ষুদ্র-পরিসরের অস্ত্র পরীক্ষা নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে নতুন করে পারমাণবিক উত্তেজনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

news