ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। হামলার পরপরই হামাস ও ইসরাইল একে অপরের ওপর যুদ্ধবিরতি ভাঙার অভিযোগ তুলেছে, ফলে পরিস্থিতি আবারো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তার পর থেকে শনিবার ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনগুলোর একটি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, গাজা উপত্যকার একটি ‘ইয়েলো লাইন’ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এক “সশস্ত্র সন্ত্রাসী” অনুপ্রবেশ করে সেনাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এই রুটটি মূলত দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ইসরাইলের দাবি, এরপরই তারা “সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে” বিমান হামলা শুরু করেছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে জানান,
“আজ সন্ধ্যায় পাঁচটি পৃথক ইসরাইলি বিমান হামলায় ২১ জন শহীদ হয়েছেন। এটি যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন।”
মধ্য গাজার নুসাইরাত এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ৭ জন নিহত এবং ১৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
গাজা সিটির পশ্চিমের আল-নাসর এলাকায় একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৩১২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।
