ভূমিকম্প মানে শুধু মাটি কাঁপা নয়, মানে এক সেকেন্ডে সব শেষ! ঘরবাড়ি ধ্বংস, সুনামি, ভূমিধস – সব আসতে পারে একসঙ্গে। এটা আটকানো যায় না, কিন্তু নিজেকে আর পরিবারকে বাঁচানো যায় – যদি আগে থেকে তৈরি থাকেন। আর যারা এমন দেশে থাকেন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই মাটি নড়ে, তাদের জন্য তো প্রস্তুতি ছাড়া উপায়ই নেই!
তালিকার এক নম্বরে জাপান! প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে যে ‘রিং অফ ফায়ার’ আছে, তার মাঝখানে পড়ে আছে পুরো দেশটা। ছোট ছোট কম্পন তো প্রায় রোজই হয়, মানুষ টেরও পায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে আসে বড় ধাক্কা – যেগুলো সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তবে জাপানিরা হাল ছাড়েনি। পুরো দেশে ১০০০-এর বেশি সিসমোমিটার বসানো, মিনিটের মধ্যে সতর্কবার্তা চলে যায় মোবাইলে। ঘরবাড়ি বানায় ভূমিকম্প-প্রতিরোধী।
প্রায় প্রতি বছরই ৬ মাত্রার ওপর ভূমিকম্প হয়! ২০১৮ সালে তো এক বছরেই ৯ বার ৬-এর ওপর, হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। রিং অফ ফায়ারের ওপর বলে শুধু ভূমিকম্প নয় – আগ্নেয়গিরি ফাটে, সুনামি আসে, বন্যা হয়। তবুও লড়ে যাচ্ছে মানুষ।
ভূমিকম্পের ইতিহাসটা খুবই ভয়ংকর। ২০০৮ সালে সিচুয়ানে ৭.৯ মাত্রার কম্পনে ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় বা নিখোঁজ হয়। একাধিক টেকটোনিক প্লেটের ওপর বলে মাটির তলায় চাপ জমতেই থাকে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসও বড় সমস্যা।
রিং অফ ফায়ারের ধার ঘেঁষে। পাহাড়ি জায়গা বলে ভূমিকম্প হলেই ভূমিধস নামে। তার ওপর টাইফুন, ঝড় – সারা বছর বিপদ। তাই এখানকার মানুষ খুব মজবুত ঘর বানায়, প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।
ইরান
অনেকগুলো ফল্ট লাইনের ওপর বলে ভূমিকম্প খুবই সাধারণ। ১৯৯০ সালে গিলানে একটা ভূমিকম্পে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। তবুও ইরানিরা ছাড়েনি – প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সবসময় তৈরি থাকে।
