ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো আর তার সরকারের কাছের লোকজনদের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য’ বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার সিএনএনের এক রিপোর্টে এই খবর বেরিয়েছে।
আমেরিকান কর্মকর্তারা বলছেন, এই লেবেলিংটা পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী সন্ত্রাসবাদ দমনের অস্ত্র’গুলোর একটা। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার চলে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্র অনেকদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ভেনেজুয়েলার সরকার আর মাদুরো মাদক পাচারের নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। তবে মাদুরো সবসময় বলে আসছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমেরিকান সেনাবাহিনী ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১২-এর বেশি যুদ্ধজাহাজ আর ১৫ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। মাদক পাচারবিরোধী অভিযানে ইতোমধ্যে বিভিন্ন নৌকায় হামলা করে কয়েক ডজন মানুষকে হত্যা করেছে আমেরিকান বাহিনী।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘ আর মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলেছে। তারা সতর্ক করেছে যে, এগুলো ‘গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হতে পারে।
সিএনএন আরও জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার ভিতরে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে বিভিন্ন অপশনের আইডিয়া দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে সামরিক বা সরকারি স্থাপনায় হামলা আর স্পেশাল অপারেশন। তবে কিছু না করার অপশনও এখনো খোলা।
এই অঞ্চলে আমেরিকার জড়ানোর বিরুদ্ধে আমেরিকান জনগণের বিরোধিতা আছে। রোববার সিবিএস নিউজ/ইউগভের একটা সার্ভে বলছে, ৭০% আমেরিকান ভেনেজুয়েলায় আমেরিকান সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন, যেখানে মাত্র ৩০% সমর্থন করেন।
৭৬% উত্তরদাতা বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আমেরিকার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা অভিবাসী আর মাদকের অবৈধ আস্তানা কমাতে কাজ করছে – তবে শাসনব্যবস্থা বদলানো এর ‘সম্ভাব্য সাইড ইফেক্ট’।
একজন আমেরিকান কর্মকর্তার মতে, ট্রাম্প আশা করছেন এই চাপগুলো সরাসরি যুদ্ধ ছাড়াই মাদুরোকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে কিছুটা খোলামেলা। গত সপ্তাহে বলেছেন, মাদুরো ‘আলোচনা করতে চান’ আর পরামর্শ দিয়েছেন যে তিনি ‘নির্দিষ্ট সময়ে’ তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি।
ট্রাম্প-মাদুরোর সম্ভাব্য কথোপকথন নিয়ে মন্তব্যের জন্য সিএনএনের অনুরোধে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।
