রাজস্থানের আলওয়ারে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। সরকারি ইএসআইসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি এক মহিলা রোগীকে সেডেটিভ ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক নার্সিং স্টাফের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী ওই তরুণী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ তিনি অজ্ঞান অবস্থায় কাতর স্বরে স্বামীর নাম ডাকতে শুরু করেন। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা ভয় পেয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আইসিইউ স্টাফরা তার স্বামীকে ভেতরে ডাকেন। তখন দেখা যায়, রোগীর বেডের চারপাশে পর্দা টানা এবং তিনি আধচেতন অবস্থায় শুয়ে আছেন।

পরদিন কিছুটা সুস্থ হলে তরুণী স্বামীর কাছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ জানিয়ে বলেন—তাকে সেডেটিভ ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। আলওয়ারের সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর মহাবীর সিং বলেন, “পর্দা টেনে তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তিনি ধর্ষণের চেষ্টা ঠেকাতে চাইলেও ওষুধের কারণে কথা বলতে পারেননি। তাই স্বামীর নাম ধরে ডাকতে থাকেন।”

নির্যাতিতার স্বামী প্রথমে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা অভিযোগটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলেই দাবি পরিবারের। পরে তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি তুলে ধরলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইএসআইসি মেডিক্যাল কলেজের ডিন ড. অসীম দাস বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

news