পার্সটুডের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে জায়নিস্ট অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে। তরুণ ও শিক্ষিত অভিজাতরা চলে যাওয়ায় ইসরায়েলি শাসনের জনসংখ্যা, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার ভিত্তি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর—এই দুই বছরে বসতি স্থাপনকারীদের দেশত্যাগ দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যারা চলে যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত তরুণ, পেশাদার এবং পরিবার। প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।

বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ইসরায়েলের উৎপাদনশীলতা ও বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা কমে যাবে, পাশাপাশি জনসংখ্যাগত কাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ শক্তিতেও বড় পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশত্যাগীদের ৪০ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং অর্ধেকেরও বেশি উচ্চশিক্ষিত। তেল আবিবসহ অধিকৃত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ যাচ্ছে এবং তারা নিকটবর্তী সাইপ্রাস ও ইউরোপের সমুদ্র ও বিমানবন্দরকে প্রধান ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে।

সামরিক অনিরাপত্তা, বহিরাগত আক্রমণের ভয়, সামাজিক অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ, যুদ্ধ এবং কর্পোরেট দেউলিয়াত্বজনিত অর্থনৈতিক চাপ—এই সবকিছুই দেশত্যাগের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় সংস্কার ইস্যু, ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এবং শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগও পরিবারগুলোকে অঞ্চল ছাড়ার সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করছে।
অভিজাত শ্রেণী ও তরুণদের এই ব্যাপক দেশত্যাগ কর রাজস্ব ও জিডিপি কমিয়ে দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।
 

news