ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ইউক্রেন–রাশিয়া শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করার সময় ইউরোপের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। তবে এই ইস্যু ইউরোপের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাক্রোঁ জানান, শান্তি প্রস্তাবে কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে যেমন সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। তবে যে কোনো সমাধানে ইউরোপের নিরাপত্তা উদ্বেগও বিবেচনায় রাখতে হবে। তিনি শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউরোপের সঙ্গে আলোচনা না করেই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। এতে ইউরোপের এখতিয়ারের বিষয়গুলো—যেমন রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ, ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক এবং ন্যাটো—এর উপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ম্যাক্রোঁ জানান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং ইউরোপের প্রতিনিধিরা রবিবার জেনেভায় বৈঠক করবেন। এছাড়া ‘ভলান্টিয়ার কোয়ালিশন’ অনলাইনে ২৫ নভেম্বর বৈঠক করবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করলে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হবে। নির্ভরযোগ্য প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে রাশিয়া পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে পারে।
এসময় তিনি রাশিয়ার প্রতি অভিযোগও তোলেন। তাঁর বক্তব্য, আলোচনার আগে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সমর্থন করলেও রাশিয়া তা মানছে না।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের ২৮ দফা পরিকল্পনা জানাতে জেলেনস্কিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। তবে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এই প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ইউরোপের কিছু নেতা ইতিমধ্যেই একটি পাল্টা প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছেন।
