লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে – এটা শুনলে সবারই হৃদয় কেঁপে ওঠে! হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন আর বহু মানুষ আহত, জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘটনা অঞ্চলের শান্তি আরও বিপন্ন করে তুলেছে, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে চালানো এই হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর চিফ অব স্টাফ হাইথাম আলী তাবতাবাইকে লক্ষ্য করা হয়েছে। তবে হামলায় নিহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই হামলা হয়েছে। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএএ জানিয়েছে, এতে অনেক মানুষ আহত আর বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। 

হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করেছে, তাদের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছিল। তবে সেই কমান্ডারের পরিচয় তারা প্রকাশ করেনি।
হিজবুল্লাহর কর্মকর্তা মাহমুদ ক্বোমাতি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি এই হামলার টার্গেট ছিল। ফলাফল এখনও পরিষ্কার নয়। এই হামলা রেড লাইন অতিক্রম করেছে।’ তার কথায় যেন উত্তেজনার আভাস – এরপর কী হবে, সেটাই সবার চিন্তার বিষয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু নিজেই। যদিও ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছর ধরে যুদ্ধবিরতি চলছে।

ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা বলছেন, ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় হামলা হয়েছে। হামলার পরপরই অ্যাম্বুলেন্স ছুটে এসেছে আর উদ্ধারকর্মীরা অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। সেই দৃশ্য দেখে মনে হয়, সাধারণ মানুষের জীবন কতটা অসহায়!
দক্ষিণ লেবাননে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই লেবাননের অভ্যন্তরে হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এসব হামলা হিজবুল্লাহর সদস্য ও অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৩১ জন নিহত এবং ৯৪৫ জন আহত হয়েছেন। এই 
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাদের চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা আংশিকভাবে সরে গিয়ে এখনও সীমান্তের পাঁচটি আউটপোস্টে অবস্থান বজায় রেখেছে। এখন এই হামলা সবকিছুকে আরও জটিল করে তুলেছে – অঞ্চলের শান্তি কি আবার বিপন্ন?