লেবাননের রাজধানী বৈরুতের আবাসিক এলাকায় রোববার হঠাৎ ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা! এতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত আর ২১ জনের বেশি আহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়ে বলেছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর আল-হারায় একটা আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে তারা ‘নির্ভুল হামলা’ চালিয়েছে। নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শে নেতানিয়াহু নিজেই এই হামলার অনুমোদন দিয়েছেন।

দুইজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, বিষয়টা আরও জটিল। প্রথম কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুই জানায়নি – হামলার পরপর জানিয়েছে। দ্বিতীয়জন বলেছেন, কয়েকদিন ধরে তারা শুনছিল ইসরায়েল হামলা বাড়াতে পারে, কিন্তু কখন, কোথায়, কাকে টার্গেট – এসব কিছুই আগে জানত না।
তবে ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েদিয়ত আহরোনোত এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, হামলাটা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করেই করা হয়েছে – যদিও আমেরিকা আগে বৈরুতে হামলার বিরোধিতা করেছিল।

হামলাস্থল থেকে লেবাননের এমপি আলি আম্মার বলেছেন, “এটা ওয়াশিংটন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির পর থেকে লেবাননে চলা আগ্রাসনের অংশ। লেবাননের ওপর যেকোনো হামলাই লাল রেখা লঙ্ঘন।” তিনি আরও বলেছেন, “প্রতিরোধশক্তি ধৈর্য ধরে আছে, কিন্তু যথাসময়ে জবাব দেবে।” দুঃখের সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, লেবাননের ভেতরেই কিছু লোক ইসরায়েলের আগ্রাসনকে সমর্থন করছে – এটা শত্রুকে আরও বেপরোয়া করে তুলছে।

এই হামলা নভেম্বর ২০২৪-এর যুদ্ধবিরতি চুক্তির আরেকটা স্পষ্ট লঙ্ঘন। মঙ্গলবার রাতেও দক্ষিণ লেবাননের সাইদা শহরের কাছে আইন আল-হিলওয়ে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন, অনেক শিক্ষার্থী আহত। ইসরায়েল বলছে, ওটা হামাসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। কিন্তু হামাস বলছে, এটা নির্লজ্জ মিথ্যা – সেটা ছিল শুধুই একটা খোলা খেলার মাঠ।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪,০০০ মানুষ নিহত আর ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শান্তির চুক্তি থাকলেও যেন যুদ্ধ থামছেই না – সাধারণ মানুষের কষ্টের শেষ নেই!

news