পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে আধাসামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদর দফতরে সোমবার ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন মারা গেছেন—তিনজন সন্ত্রাসী এবং তিনজন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য।
হামলার লক্ষ্য ছিল ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি, যা পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান ইউনিট। পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বলেন, “প্রথম আত্মঘাতী হামলাকারী মূল গেটে বিস্ফোরণ ঘটায়, এরপর আরেকজন ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়।”
তিনি আরও জানান, “আমাদের ধারণা ভবনের ভেতরে আরও সন্ত্রাসী থাকতে পারে। তাই সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ দল পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হচ্ছে।”
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার এই সদর দফতরের কাছেই রয়েছে একটি সামরিক ক্যান্টনমেন্ট। স্থানীয় বাসিন্দা সাফদার খান জানান, “সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় যান চলাচল পুরোপুরি থেমে গেছে।”
হামলাকারীদের পরিচয় বা হামলার উদ্দেশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং নতুন কোনো হামলার আশঙ্কা এড়াতে বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যায় বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি) ও বেলুচিস্তানে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নতুন করে হামলার হুমকি দেওয়ার পর এসব হামলা আরও বাড়তে থাকে।
