নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে হাসি-তালিমেলি বৈঠকের পরও তার আগের বক্তব্যেই অটল। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট একজন 'ফ্যাসিস্ট'।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি স্পষ্ট ভাষাতেই বলেছেন, "এটা এমন একটি বিষয়, যা আমি এর আগেও বলেছি, আজও বলছি।"
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এই ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট নেতার সাথে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হয়। গত কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলছিল। সেক্ষেত্রে, এই বৈঠককেই একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ সময় নিউইয়র্ক শহরের ভবিষ্যৎ নিয়ে একসাথে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তারা।
মজার ব্যাপার হলো, বৈঠকের সময় ট্রাম্প মামদানির সাথে বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ ও খোলামেলা আচরণ করেছিলেন। এটা সেই ট্রাম্প, যিনি একসময় উগান্ডায় জন্ম নেওয়া মামদানিকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন!
বৈঠকস্থলেই এক সাংবাদিক মামদানিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কি এখনও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন? প্রশ্ন শুনে ট্রাম্প নিজেই মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে উত্তর দেন, "ঠিক আছে, আপনি এটা বলতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।"
তবে রোববার এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মামদানি সেই বৈঠকের আরও কিছু গভীর দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমি সত্যিই প্রশংসা করি যে আমাদের আলোচনায় আমরা মতপার্থক্যের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাইনি। বৈঠককালে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান খুবই স্পষ্ট ছিল।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আবাসন খরচ, শিশু যত্নের ব্যয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম – এগুলোই ছিল আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার মূল বিষয়। আর প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকেও আমরা বারবার এই বিষয়গুলোতেই ফিরে গেছি।"
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি এবং শহরে সেনা মোতায়en করার পরও ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের প্রশংসা করেন। ট্রাম্প বলেন, "তিনি (মামদানি দারুণ কাজ করতে পারেন। আমরা তাকে সাহায্য করব, যাতে সবার স্বপ্ন পূরণ হয় এবং একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ নিউইয়র্ক গড়ে উঠতে পারে।"
মোটকথা, হাসিমুখে ছবি তোলা এবং সহযোগিতার কথাবার্তা সত্ত্বেও, নিউইয়র্কের নতুন মেয়র তার মূল রাজনৈতিক অবস্থান থেকে একচুলও সরে আসেননি।
