ভেনেজুয়েলায়  মার্কিন প্রশাসনের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে দেশের বেশিরভাগ নাগরিকই বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে, আমেরিকানরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন  অভিযানের বিষয়ে জনগণকে স্পষ্টভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

সিবিএস নিউজ এবং আন্তর্জাতিক জনমত জরিপ ও বিশ্লেষণকারী সংস্থা ইউগভ -এর করা এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই এই জরিপটি প্রকাশ হলো।

জরিপে কী উঠে এল?
গত ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৪৮৯ জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৬ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, সামরিক অভিযানের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন কী করতে চায়, তা তারা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেনি।

মাত্র ২৪ শতাংশ নাগরিক অভিযানের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করবেন বলে জানান, যেখানে ৩০ শতাংশ নাগরিক এর পক্ষে থাকবে।

ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানকে দেশের নিরাপত্তার জন্য আমেরিকানরা কতটা ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল:

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে আসা অবৈধ মাদকের কারণে মার্কিন নাগরিকদের মৃত্যু হচ্ছে এবং এর পেছনে মাদুরোর হাত রয়েছে। যদিও মাদুরো মাদক কারবারের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তারপরও ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলা সম্পর্কিত যুদ্ধের বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করে দেখছে।

গত আগস্টে ট্রাম্প ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক পাচারের রুটগুলিকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার পর এই নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। মার্কিন কর্মকর্তারা এই রুটগুলিকে মাদুরো সরকারের সাথে সংযুক্ত করে দেখেন। এরপর থেকে, মার্কিন বাহিনী মাদক বহনকারী জাহাজগুলিতে ২১টি হামলা চালিয়েছে, যেখানে ওয়াশিংটনের দাবি, এতে ৮৩ জন নিহত হয়েছে। ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে মাদক পাচারের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করতে পারেন।

২০১৩ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর অভিযোগ, ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। মাদুরো প্রত্যয় জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী ও নাগরিকরা এ ধরনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করবে।

news