অতীতের মতো এবারের বাজেটও হবে দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাটের দলিল ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সরকার ঘোষিত বাজেটের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিবছর সরকার যে বাজেট দেয়া হয় তাতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের চলতি নীতিমালারই প্রতিফলন ঘটে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ক্ষমতাসীন সকল রাজনৈতিক দল তথা শাসক শ্রেণি পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতিকে কেন্দ্র করেই বাজেট প্রণয়ন করেছে। ফলে দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাট-দুর্নীতি ও সম্পদের কেন্দ্রীভবন ত্বরান্বিত হয়, যা বর্তমানে চরম রূপ নিয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, পুঁজিবাদী বিকাশের ধারায় জিডিপি বেড়েছে তার পরিণতিতে দেশে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশের মেগা প্রকল্পে ঋণও বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণ-কর খেলাপি চোরাই টাকার মালিকদের সম্পদ বেড়েছে।মধ্যম আয়ের দেশের মানুষেরা কম মজুরিতে কাজ করে শ্রম নির্ভর রফতানিমুখী শিল্পে ভর্তুকি দিতে থাকবে, এমনটা আশা করা ঠিক হবে না।

তারা বলেন, বাজেটে শিক্ষা ও কৃষি খাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, বাজেটে বৈষম্য নিরসনে সরকারের ইচ্ছা এবং জবাবদিহিতা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন যা বর্তমানে পরিপূর্ণ অনুপস্থিত।

নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতি বছর সরকার একটি গতানুগতিক বাজেট উপস্থাপন করে। সরকারের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ সালের বাজেটও তার থেকে আলাদা কিছুই নয়। এই বাজেটে সাধারণ মানুষ উপেক্ষিত। বরাবরের মতোই বাজেট বৈষম্যমূলক দলিল হিসেবেই সামনে এসেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া লুটেরা গোষ্টি দিয়ে এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়।

তারা প্রস্তাবিত বাজেটে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেওয়াকে অনৈতিক ও পাচারকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার শামিল বলে মন্তব্য করে বলেন, এটি দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গর্হিত এই অপরাধের জন্য শাস্তির বদলে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করার এ সব উদ্যোগকে অর্থ পাচারকারী তথা দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার শামিল।

news