বিস্ফোরক বীরু, ‘গ্রেগ তো ভণ্ড, বলেছিলেন নেতৃত্ব দেবেন, দু’মাস পরেই বাদ দিয়ে দিলেন!’
বরাবরই বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Virender Sehwag) ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত। খেলোয়াড় থাকাকালীন বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। এমনকী খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পরেও ধারাভাষ্যে নানা বিতর্কিত কথা বলে থাকেন।
সেওয়াগ আছেন সেওয়াগই। সেই কারণেই সম্প্রতি তিনি গ্রেগ চ্যাপেল (Greg Chappell) প্রসঙ্গে বীরু বলেছেন অতীতের নানা ঘটনা। আচমকাই বোমা ফাটিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন মারকুটে ব্যাটসম্যান।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও গ্রেগ চ্যাপেল পর্বে সেওয়াগ, দ্রাবিড়রাও বড় বেশি প্রাসঙ্গিক ছিলেন। গুরু গ্রেগ সেবারের বিতর্কিত পর্বে সৌরভকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেন। পাশাপাশি তাঁকে দল থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।
সৌরভ শুধু নন, সেওয়াগের প্রতিও নিজের রাগ মিটিয়েছিলেন চ্যাপেল। কিন্তু চ্যাপেল ওই পর্বে বীরুকে প্রথমে বলেছিলেন, দলের নেতৃত্বের ভার তাঁকে দেবেন। কিন্তু দু’মাসের মধ্যে তাঁকে দল থেকেই বাদ দিয়েছিলেন। সেই নিয়ে বীরু মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, ‘‘গ্রেগ একটা ভণ্ড লোক। উনি আমাকে তো বলেছিলেন অধিনায়ক করবেন, তারপর দল থেকে বাদই দিয়ে দিলেন।’’
গ্রেগকে ভারতের কোচ করে নিয়ে এসেছিলেন সৌরভই। আর মহারাজকেই বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন। পরে অধিনায়ক করা হয় রাহুল দ্রাবিড়কে। ২০০৭ বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরে দ্রাবিড়ও সরে যান নেতৃত্ব থেকে। সেইসময়ই বীরুকে অধিনায়ক করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু সেওয়াগ নন, গ্রেগ দলের দায়িত্ব দেন এমএস ধোনিকেই। সেই উত্থান শুরু মাহির।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ এবং ২০১২ সালের মধ্যে সেওয়াগ ১২টি ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। তবে স্থায়ী অধিনায়ক হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর।
বীরু সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের দলের বহু সিনিয়র মনে করতেন, জাতীয় দলের জন্য বিদেশি কোচই ভাল। কারণ দেশের কোচদের নিয়োগ করলে পক্ষপাতিত্বের বিষয় থাকে। কিন্তু বিদেশি কোচ নিয়ে এলে সেই সমস্যা থাকে না। গ্রেগ এসে অবশ্য দলের মধ্যে ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।’’ কথায় একেবারে আগুন জ্বাললেন ভারতের নামী প্রাক্তন।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩ /একে

