রোনালদোর জোড়া গোলে পর্তুগালের বড় জয়

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে পর্তুগাল।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতের ম্যাচে জোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে লিখটেনস্টেইনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়াও দলের হয়ে একটি করে গোল করেন জোয়াও কানসেলো ও বের্নার্দো সিলভা।

কাতার বিশ্বকাপের শেষ দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। বিশ্ব আসর শেষে অবশেষে নতুন কোচের অধীনে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুর একাদশে আবার ফিরলেন সিআরসেভেন। তাতে গোলেরও দেখা পেয়েছেন এ তারকা।

জোড়া গোল করে নিজের ক্যারিয়ারের ১২০তম গোল পূর্ণ করলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষে থাকা এ তারকা। তার আগে তিনি গড়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। ১৯৭তম ম্যাচে মাঠে নেমে সিভারসেভেন পেছনে ফেলেছেন  কুয়েতের বাদার আল মুতাওয়াকে।

রোনালদোর আগে পর্তুগালের গোলের খাতা অবশ্য খুলেছিলেন জোয়াও কানসেলো। ম্যাচ শুরুর অষ্টম মিনিটে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রাফায়েল গেরেইরোর ক্রস লিখটেনস্টেইনের গোলরক্ষক বেনিয়ামিন বুচেল পাঞ্চ কলে ক্লিয়ারের চেষ্টা করেন। সেটা ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে যান কানসেলো। সেখান থেকে জোরালো শট নেন তিনি। দ্বিতীয় চেষ্টায় বুচেল আর সে বল গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। তাতে লিড পেয়ে যায় পর্তুগাল। তার সাত মিনিট পর লিড বাড়িয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন জোয়াও ফেলিক্স।

কিন্তু ডি-বক্সের বাঁ কর্নার থেকে নেয়া তার দুর্বল শট সহজে গ্লাভসবন্দি করে নেন বুচেল। ১৯তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন ফেলিক্স। চার মিনিট পর ব্যর্থতার পরিচয় দেন রোনালদোও। সতীর্থের পাস ডি-বক্স দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিলেও ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে তিনি বুচেলকে পরাস্ত করে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। তার জোরালো শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। বিরতির আগে বুচেলের পরীক্ষা নিতে আরও কয়েকবার ব্যর্থ হন পর্তুগিজরা। অবশেষে ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় পর্তুগাল।

ডান প্রান্তে আক্রমণে উঠে কানসেলো সতীর্থের উদ্দেশে পাস দেন। সেটা লিখটেস্টেইনের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করে উল্টো বের্নার্দোর কাছে পাঠিয়ে দেন। ছয় গজ দূরত্বে বল পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি এ ম্যানইউ তারকা। ৫০তম মিনিটে কানসেলোকে ডি-বক্সে বাধা দিয়ে পর্তুগালকে পেনাল্টি উপহার দেন লিখটেনস্টেইনের ডিফেন্ডার ইয়েন্স হোফার। সফল স্পটকিকে দলের ব্যবধান ৩-০ করেন রোনালদো। এর ১২ মিনিট পরই ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফাউলে ফ্রি-কিক পেয়ে জোরালো শট নেন রোনালদো। বুচেল পাঞ্চ করেও সে বল লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারেননি।

৭৮ মিনিটে রোনালদোকে তুলেন কোচ রবের্তো মার্তিনেজ বিশ্বকাপের হ্যাটট্রিক গোলদাতা গনচালো রামোসকে নামান। তাতে অবশ্য ফলের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য করে খেলেছে পর্তুগিজরা। ৮২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে তারা ৩৫টি শট নেয়। যার ১১টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে লিখটেনস্টেইনের নেয়া ২ শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্য বরাবর। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।

এ জয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রপ ‘জে’র শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে পর্তুগাল।

এনবিএস/ওডে/সি

news