পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আফগানিস্তানের চমক

যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশ হয়েও ক্রিকেটে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। তাদেরকে এখন আর নবীন ক্রিকেট দেশ বলা যায় না। তাদেরকে সমীহ করে বিশ্বের প্রায় সব ক্রিকেট দেশই। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আফগান বাহিনী টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে চমক দেখালো শক্তিধর ও সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে।

টি-টোয়েন্টির সেরা ছয় দলের কোনো একটির বিপক্ষে এই প্রথম দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেললো আফগানিস্তান দল। পাকিস্তান ছাড়া বাকি পাঁচটি দল হলো; ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

শারজায় রোববার রাতে রুদ্ধশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র এক বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে আফগানরা। এই জয়ের ফলে আফগানিস্তান টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজন নিশ্চিত করে। এরআগে গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান বোলিং দাপট দেখিয়ে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। আজ সোমবার রাতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।    

২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং ২০০৭ ও ২০২২ সালের রানার্সআপ পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান ১৯.৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট খুইয়ে ১৩৩ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

শেষ ২ ওভারে আফগানদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। সেই অবস্থায় নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মাদ নবী অসাধারণ ও আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। দারুণ বোলিং করে পাকিস্তানকে স্বল্প ব্যবধানে আটকে রাখার সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ফজল হক ফারুকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট লাভ করেন।    

১৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলী ৩০ রানের সময় প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। জামান খানের বলে বোল্ড হন উসমান ঘানি ব্যক্তিগতভাবে মাত্র ৭ রান করে। উইকেটকিপার রহমাতউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান দ্বিতীয় জুটিতে ৫৬ রান তুলে দলের অবস্থা মজবুত করেন। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় গুরবাজ রান আউট হন।

তিনি করেন ৪৪ রান। দলীয় ১০২ রানের সময় ইব্রাহিম জাদরান পাকিস্তানী বোলার ইহসানউল্লাহ’র বলে উইকেট কিপার আজম খানের হাতে ধরা পড়েন। তিনি কনেন ৩৮ রান। আর নাজিবউল্লাহ জাদরান ১২ বলে ২৩ এবং নবী  ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের জামান খান ও ইহসানউল্লাহ ১টি করে উউকেট লাভ করেন।  

এরআগে, টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতেই মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়ে আফগানদের বোলিং তান্ডবে। দলের কোনো রান যোগ না হতেই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক প্যাভিলিয়েনে ফিরে যান। ইমাদ ওয়াসিম একাই দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ম্যাচ সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন ৫৭ বলে। কিন্তু তাকে সহযোগিতা করার মতো আর কেউ ছিল না। বাকিদের মধ্যে মোহাম্মাদ হারিস ১৫ এবং তৈয়ব তাহের ১৩ রান করেন।   

ফারুকী ছাড়াও অন্যান্য আফগান বোলারদের মধ্যে নাভিদ উল হক, রশিদ খান এবং কারিম জানাত ১টি করে উইকেট লাভ করেন।    

এনবিএস/ওডে/সি

news