ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের তেঁতো স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। যা মেনে নিতে পারছেন না দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ইনজামাম উল হক পাকিস্তান দলের কড়া সমালোচনা করেছেন। মিয়াঁদাদ পাকিস্তানের এমন হারকে বাজে লক্ষ্মণ হিসেবে দেখছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ৪৪৮ রান করেও ১০ উইকেটের হার দেখতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। উইকেটের ব্যবধানে নিজেদের মাটিতে এত বড় হার আগে দেখেনি পাকিস্তান। আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬ রানে বাংলাদেশের ৬ উইকেটে তুলে নেয়ার পর এমন ভাবে টেস্ট হারা যেতে পারে সেটা যেন পাকিস্তান দেখেই সম্ভব। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
যদিও বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রথম দিন ভেস্তে গিয়েছিল। চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাটিংই করতে পারেনি। বৃষ্টিও যেন পাকিস্তানের এমন হার আটকাতে পারেনি। এক সময় এই পাকিস্তানই লাল বলের ক্রিকেটে রাজত্ব করেছে। তাদের এই অধ:পতন দেখে অনেকেই অবাক।
সাবেক অধিনায়ক মিয়াঁদাদ পিটিআইকে বলেছেন, এটা কষ্টের যে, আমাদের ক্রিকেট এই পর্যায়ে এসেছে। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে তাদের গোছানো পারফরম্যান্সের জন্য। কিন্তু এই সিরিজে যেভাবে আমাদের ব্যাটিং ভেঙে পড়েছে, তা খুব বাজে লক্ষ্মণ।
গত কয়েক বছর ধরে অনেক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভরাডুবি হয়েছে পাকিস্তানের। এর মধ্যে পিসিবির সাংগঠনিক পদে বড় সব পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন মিয়াঁদাদ।
তিনি খেলোয়াড়দের দোষ না দিলেও এসব ক্রিকেটারদের প্রভাবিত করেছে বলে বিশ্বাস তার। মিয়াঁদাদ বলেন, 'আমি শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দেব না, কারণ গত দেড় বছরে বোর্ডে (পিসিবি) যা কিছু হয়েছে এবং অধিনায়কত্ব ও ম্যানেজমেন্টের পরিবর্তন দলকে প্রভাবিত করেছে।
পাকিস্তানের সোনালী যুগের সারথী ছিলেন ইনজামাম উল হক। অধিনায়ক হিসেবেও পাকিস্তানকে অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের এমন হার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তারও। তবে এই ব্যর্থতায় ব্যাটারদেরই সবচেয়ে বেশি দায় দেখছেন তিনি।
তিনি বলেন, অতীতে সেরা দলগুলোকে হারানোর জন্য হোম সিরিজকে সবসময় আমাদের সেরা সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এর জন্য তো ব্যাটসম্যানদের রান পেতে হবে। আমাদের ব্যাটাররা অতীতে রান পেয়েছে, কিন্তু এই মুহূর্তে আমি মনে করি, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে তাদের মানসিক দৃঢ়তা দরকার।
সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে হার পাকিস্তানের ক্রিকেটে ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে নতুন অধিনায়ক শান মাসুদ ও নতুন কোচ জেসন গিলেস্পির কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। সেটা এখন বলে দেয়াই যায়।