কানপুর টেস্টের আগের দিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। যেখানে দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই এই সংস্করণে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, তবে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান।
সাকিবের চাওয়া অনুযায়ী মিরপুর টেস্টের স্কোয়াডেও তাকে রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরা। যদিও এর মাঝে সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল থেকে দেয়াললিখন এমনকি কুশপুত্তলিকা দাহও করে সাকিব বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার ইস্যুতে আর মিরপুর টেস্ট খেলা হয়নি সাকিবের। এমনকি মাঝ পথ থেকে যুক্তরাষ্ট্রেও ফিরে যেতে হয়েছে তাকে।
সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডেতে খেলতে চান এই অলরাউন্ডার।
চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দিবে বাংলাদেশ দল। আমিরাতের শারজায় নিরপেক্ষ ভেন্যু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ এরপর দুই দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ গড়াবে ৯ নভেম্বর। আর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ১১ নভেম্বর।
আসন্ন এই সিরিজে সাকিব খেলবেন কি না, কিংবা সাকিবকে স্কোয়াডে রাখবে কি নাএমন আলোচনা-গুঞ্জন কদিন ধরেই হচ্ছিল। সিরিজে সাকিব থাকবেন কি না সেটি নিয়েও বুধবার (৩০ অক্টোবর) বোর্ড সভায় আলোচনার আগে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফারুক বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাকিব সিলেকশনের জন্য অ্যাভেইলেবল। যেহেতু এখনো দল দেয়নি তার মানে অ্যাভেইলেবল আছে সে।’
এর আগে আসন্ন সিরিজে খেলা প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবির কোটে বল ঠেলে দিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিকবাজকে তিনি বলছিলেন, ‘আমি কীভাবে বলব, এটা তো বিসিবির বলা উচিত।