খেলা সংবাদ ডেস্ক: অনেক লড়াই করেও জিততে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছেই শেষ পর্যন্ত হারে গেল পেপ গার্দিওলার দল। সমানে সমান লড়াই হলেও অকস্মাৎ জয় পেয়ে নিল নিউক্যাসল, যেনো অবাক হয়ে গেলেন স্বয়ং পেপ গার্দিওলা!

শনিবার ২২ নভেম্বর সেন্ট জেমস পার্ক স্টেডিয়ামে মাত্র সাত মিনিটের এক ঝড়ে দুই দলের জালে বল গেল তিনবার। এই রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়ে শেষ হাসি হাসল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। নিউক্যাসলের জয়ের নায়ক হার্ভে বার্নস, যিনি জোড়া গোল করে দলকে এই বড় জয় এনে দিলেন। সিটির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রুবেন দিয়াস।

ম্যাচে বল দখলে পুরো আধিপত্য দেখিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। তারা ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল এবং ১৭টি শট নিয়েছিল, যার মধ্যে ৪টি সরাসরি লক্ষ্যে পড়ে। অন্যদিকে, নিউক্যাসলের ৯টি শটের মধ্যে পাঁচটিই ছিল লক্ষ্যভেদী।

এই জয়ের ফলে গত ২০ বছরে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো জয় পেল নিউক্যাসল। ১২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন টেবিলের ১৪ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে।

অন্যদিকে, এই হারের পরও ম্যানচেস্টার সিটি টেবিলের তৃতীয় স্থানেই রয়েছে। ১২ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসির সাথে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ১। আর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্সেনাল, ১১ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হেলায় হারায়। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুতে সুযোগ মিসের মহড়া চলতে থাকে। অবশেষে ৬৩ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন বার্নস। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর জোরালো শটে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল।

জবাব দিতে সিটিও সময় নেয়নি। মাত্র পাঁচ মিনিট পর ৬৮ মিনিটে দিয়াসের শট বক্সে অন্য খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক বদল করে জালে জড়ায়।

তবে, ৭০ মিনিটে আবারও গোল খেয়ে বসে সিটি। ব্রুনো গিমারেসের হেড ক্রসবারে লাগার পর সামনে পাওয়া বল ঠিকই জালে পাঠান বার্নস। ভিএআরে দীর্ঘক্ষণ অফসাইড পরীক্ষা করার পরই কেবল গোলটিকে বৈধ ঘোষণা করেন রেফারি।