আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় কারা কারা খেলবে, তার মধ্যে ৪২টি দেশ ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি ৬টি দল প্লে-অফের মাধ্যমে জায়গা পাবে। তবে এই শক্তিশালী দেশগুলোর বাইরে আরও অসংখ্য দেশ রয়েছে যারা তুলনামূলকভাবে ‘দুর্বল’ এবং বিশ্বকাপের আলোচনার অনেক বাইরে। সেই দলগুলোর জন্যই মার্চ-এপ্রিলের আন্তর্জাতিক ব্রেককে কেন্দ্র করে ফের বিশেষ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে ফিফা—দুই বছর পর ফিরছে ফিফা সিরিজ ২০২৬।
যোগ্যতা অর্জন পর্ব শেষ হলে সাধারণত দলগুলোর সামনে থাকে শুধু প্রীতি ম্যাচের সুযোগ। আবার যে দলগুলো বিশ্বকাপ বা মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের টিকিট কাটতে পারেনি, তাদের তো লক্ষ্যই থাকে না কোনো প্রতিযোগিতা। এই তালিকা বেশ দীর্ঘই।
ফিফা বলছে, ফুটবলকে আরও সর্বজনীন করা ও বৈচিত্র্য বাড়ানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য। পুরুষ ও নারী—দু’ বিভাগেই দলগুলো এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। ফিফার দাবি, এই সিরিজ দেশগুলোর ‘উন্নয়নের সম্ভাবনা’ আরও বাড়াবে এবং বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের বাইরের দেশগুলোকে এনে দেবে একটি মিলনমঞ্চ।
নারীদের জন্য ফিফা সিরিজ আয়োজন করা হবে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও আইভরি কোস্টে। অন্যদিকে পুরুষদের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মরিশাস, পুয়ের্তো রিকো, রুয়ান্ডা ও উজবেকিস্তানে।
এই আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও উজবেকিস্তান বিশ্বকাপে অংশ নেবে। তবে সিরিজে কোন কোন দেশ খেলবে, তা ঠিক করা হবে ২০২৬ সালের শুরুতে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালে একই ধরনের ‘পাইলট’ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল ফিফা। পাঁচটি দেশে মোট ২৪টি দল অংশ নেয় সেই আসরে। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতেও ম্যাচ হয়েছিল। টুর্নামেন্টটি জিতেছিল শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়া। এবারের ফিফা সিরিজে আরও বেশি দল অংশ নেবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
