গুয়াহাটিতে প্রথম ইনিংসেই ৪৮৯ রানে থামল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরিকল্পনা ছিল প্রোটিয়াদের তিনশোর আশেপাশে আটকে রাখা—কিন্তু ভারতীয় বোলারদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে প্রোটিয়ারা পৌঁছে গেল প্রায় পাঁচশো রানে। সবচেয়ে হতাশার মুহূর্ত ছিল ইয়ানসেনের নার্ভাস নাইন্টিজ; মাত্র ৭ রান দূরে শতরান থেকে থামলেন তিনি, করলেন ৯৩।

ভারতের সামনে এখন বড় পরীক্ষা। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাভুমা আগে থেকেই বলেছিলেন, প্রথম দুই দিন এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ; তৃতীয় দিন থেকেই স্পিন সাহায্য করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার দলে কেশব মহারাজ আর সাইমন হারমারের মতো স্পিনার আছেন—যারা ইডেন টেস্টেই ভারতীয়দের স্পিন দুর্বলতা স্পষ্ট করেছিলেন।

দ্বিতীয় দিন পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভারতীয়দের জন্য হতাশার। প্রথম দিনের শেষে প্রোটিয়ারা ছিল ২৪৭/৬। রবিবার লাঞ্চের সময় সেই রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪২৮/৭। শেষ পর্যন্ত ইনিংস থামে ৪৮৯ তে।

লাঞ্চের আগে ভারত মাত্র একটি উইকেট ফেলতে পারে। প্রথম দিনের শেষে অপরাজিত থাকা মুথুসামী ২৫ এবং কাইল ভারেনা ১ গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ভারেনা জাদেজার বলে এগিয়ে এসে স্টাম্পড হলে জুটির ইতি ঘটে, কিন্তু ভারত সেখান থেকে গতি বদলাতে পারেনি।

মুথুসামী তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। লাঞ্চে তিনি ছিলেন ১০৭* এবং ইয়ানসেন ৫১*। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৯৪ রান। ধীরে ধীরে ভারতকে ম্যাচ থেকে সরিয়ে দিতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।

লাঞ্চের পর মুথুসামী আউট হন ১০৯ রানে। হারমার করেন মাত্র ৫, কিন্তু ইয়ানসেন একাই স্কোরটা আরও সমৃদ্ধ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কুলদীপের বলে বোল্ড হন।

ভারতের বোলিং হতাশাজনক

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কুলদীপ যাদব—তিনি নেন ৪ উইকেট। বুমরা, সিরাজ ও জাদেজা নেন ২টি করে উইকেট। কিন্তু এতেও দক্ষিণ আফ্রিকার রানের স্রোত আটকানো সম্ভব হয়নি।

news