ইংল্যান্ড অ্যাশেজ দলের তিন ক্রিকেটার—জ্যাকব বেথেল, ম্যাথিউ পটস ও জশ টাং—কে মুক্তি দিয়েছে যাতে তারা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এক্সইর বিপক্ষে ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের দুই দিনের ম্যাচে অংশ নিতে পারে।
এখন ইংল্যান্ড মূল অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছে, পাশাপাশি ইংল্যান্ড লায়ন্স দলও অস্ট্রেলিয়া সফরে আছে একটি সমান্তরাল সিরিজের জন্য।
পার্থে প্রথম অ্যাশেজ টেস্টে ভয়াবহ হার বরণ করেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক একাই তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট। এরপর ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনের ব্যাটে সহজ ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় অজিরা।
ইংল্যান্ড মূল অ্যাশেজ স্কোয়াড থেকে তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছে, কারণ তারা প্রধানমন্ত্রী এক্সইর বিপক্ষে ইংল্যান্ড লায়ন্স দলে খেলবেন।
এরা পরের অ্যাশেজ টেস্টে দলে থাকছেন না। তিনজনের নাম—জশ টাং, ম্যাথিউ পটস ও জ্যাকব বেথেল।
প্রথম টেস্টে এদের কেউই একাদশে ছিলেন না। তারা মূলত ইনজুরি সাবস্টিটিউট হিসেবে স্কোয়াডে ছিলেন।
পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড এমন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলল যাদের বলা হচ্ছিল “শতকের সবচেয়ে দুর্বল দল”।
এ ম্যাচে অজিদের ভয়ংকর বোলিং ত্রয়ী—মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হেইজেলউড—ছিল না। দুইজন তো একাদশেই ছিলেন না।
কিন্তু তবুও স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের আগুনে বোলিংয়ে ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। পরে ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী ব্যাটিং তাদের হার আরও লজ্জাজনক করে তোলে।
এটি অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পর অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় জয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
উসমান খাজা, কামিন্স ও হেইজেলউড বাদ—ব্রিসবেন টেস্ট নিয়ে দুশ্চিন্তায় অজিরা
অস্ট্রেলিয়া দল বড় ধাক্কা খেল। উসমান খাজা, প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউডকে হারাতে হয়েছে ইনজুরির কারণে।
কামিন্স বহু আগেই ইনজুরিতে পড়েছেন, এখনো ফিরে আসার নিশ্চয়তা নেই। হেইজেলউডও সদ্য আহত হয়েছেন—ফিরবেন, তবে দ্বিতীয় টেস্টের আগে নয়।
উসমান খাজার পিঠের চোট অবশ্য বড় কোনো বিপদে ফেলেনি, কিন্তু তিনি ওপেনিংয়ে নিশ্চিত নন।
স্টিভ স্মিথের সাহসী সিদ্ধান্তে তার জায়গায় ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় ট্রাভিস হেডকে—এবং সেটাই যেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে।
হেডের দ্রুত রান ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে, আর ২০০ রানের টার্গেটকেও সহজ দেখায় কঠিন উইকেটে।
