ভিজে হাজারে ট্রফিতে ভয়াবহ এক ফিল্ডিং ইনজুরির পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেএকেআর) তারকা এবং মহারাষ্ট্রের তরুণ ব্যাটসম্যান অঙ্গরিশ রাঘুবংশী। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জয়পুরে উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে ম্যাচে একটি ক্যাচ নিতে গিয়ে তিনি গুরুতর আঘাত পান। মাথায় সরাসরি আঘাত লাগায় তিনি কনকাশনে আক্রান্ত হন।
ঘটনাটি ঘটে উত্তরাখণ্ডের ইনিংসের সময়। ব্যাটসম্যান সৌরভ রাওয়াত একটি শট মেরে বলটি ডিপ মিড-উইকেটের দিকে পাঠান। সীমানা রেখার কাছে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে অঙ্গরিশ মাটিতে তার মাথা ও ঘাড়ের কাছে প্রচণ্ড আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাতে থাকেন।
মাঠেই শুরু হয় জরুরি চিকিৎসা:
ঘটনাস্থলেই তার মহারাষ্ট্র দলের সঙ্গীরা এবং মেডিকেল স্টাফ ছুটে আসেন। অঙ্গরিশ নড়াচড়া করতে পারছিলেন না, বিশেষ করে তার ঘাড় নাড়াতে কষ্ট হচ্ছিল, যা সকলকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। স্ট্রেচার ও অ্যাম্বুলেন্স আসতে কিছুটা দেরি হলেও তাকে দ্রুত নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা নিশ্চিত করেন যে ১৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার কনকাশনে আক্রান্ত, তবে অন্যান্য সব রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে।
সুসংবাদটি হলো:
এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঙ্গরিশকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এখন সুস্থ আছেন। তার দ্রুত সুস্থ হওয়ার খবরে মহারাষ্ট্র ক্যাম্প এবং কেএকেআর ভক্তদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
কী হবে এখন?
তবে এখনই মাঠে ফেরা নয়। অঙ্গরিশকে এখন কঠোর মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং কনকাশন প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। তবুও তার অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
ম্যাচের অন্যান্য খবর:
এই ম্যাচে ব্যাট হাতে অঙ্গরিশ ২০ বলে ১১ রান করেছিলেন। মহারাষ্ট্র ৩৩১/৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। রোহিত শর্মা এই ম্যাচে ডাক পেয়েছিলেন। মিউশির খান (৫৫), সরফরাজ খান (৫৫) এবং উইকেটকিপার হার্দিক তামোরের অপরাজিত ৯৩ রানের উপর ভর করে দল বড় স্কোর তোলে।
অঙ্গরিশের ক্রিকেট যাত্রা:
২০২২ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারত দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন অঙ্গরিশ। মাত্র ১১ বছর বয়সে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে তিনি মুম্বাই চলে আসেন এবং আবিষ্কার নায়ার ও ওমকার সালভির指导下 training নেন। ২০২৩ সালে তার টি-টোয়েন্টি ও লিস্ট-এ অভিষেক হয়। ২০২৪ আইপিএল নিলামে কেএকেআর তাকে ২০ লাখ রুপিতে কিনে নেয় এবং সেই বছরই দলটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তার বাবা অ্যাভিনেশ একজন প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় এবং মা মালিকা ছিলেন বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ২০২৬ আইপিএলের জন্যও তাকে রেখেছে কেএকেআর, যেখানে তাকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
