ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব নাকি শুবমান গিলকে T20I দলে রাখতে একেবারেই আগ্রহী ছিলেন না। বিশেষ করে এশিয়া কাপ ২০২৫ সামনে রেখে এই মতবিরোধ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিকদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূর্যকুমার ওপেনার হিসেবে সঞ্জু স্যামসনকে বেশি পছন্দ করতেন এবং ছোট ফরম্যাটে গিলের নির্বাচন নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলেন না।

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ভারতের T20I পরিকল্পনা থেকে বাদ পড়েছেন শুবমান গিল। এমনকি সহ-অধিনায়ক হয়েও তাকে ছেঁটে ফেলার কঠিন সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচকরা। দলে ফেরানো হয়েছে ঈশান কিশানকে, আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে আবার দায়িত্ব পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য ভারতের।

শুবমান গিলকে নিয়ে সূর্যকুমারের আপত্তি

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিক সাহিল মালহোত্রার মতে, এশিয়া কাপ স্কোয়াডে শুবমান গিলকে নেওয়া নিয়ে দলের ভেতরে স্পষ্ট মতানৈক্য ছিল। তার দাবি, সূর্যকুমার যাদব এই সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিলেন না, যা সাংবাদিক সম্মেলনেই তার কথাবার্তা ও শরীরী ভাষায় ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, “ভেতরে একটা অস্বস্তি ছিল। আমার জানা মতে, এশিয়া কাপ দলে শুবমান গিলকে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন না সূর্য। এটা গোপন কিছু নয়। প্রেস কনফারেন্সে শুবমানকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সূর্যের ভঙ্গি দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল, তিনি পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই বা সিদ্ধান্তটার সঙ্গে একমত নন।”

আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূর্যকুমার শুরু থেকেই সঞ্জু স্যামসনকে নিজের পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখতেন। নির্বাচক নীতিন নাইকের মতে, গিলের অন্তর্ভুক্তি দলের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলেছিল, যা সূর্য তখন মেনে নিতে পারেননি।

তিনি বলেন, “এশিয়া কাপে প্রথম প্রেস কনফারেন্সেই সূর্য বলেছিলেন, ‘সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে চিন্তা করবেন না।’ এটাতেই বোঝা যায়, সঞ্জু তার পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। শুবমানের অন্তর্ভুক্তিতে দলের ব্যালান্স বদলে যায়। এখন নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে দল পুনর্গঠনের পর সূর্য অনেক বেশি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ ভাবনায় আছেন।”

প্রথমবার ঘরের মাঠে ওয়ানডে নেতৃত্ব দেবেন শুবমান গিল

টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের পরবর্তী ম্যাচ এখনও বেশ কিছুদিন দূরে। এর মধ্যেই সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় কাটাতে যাচ্ছেন শুবমান গিল। সামনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ, ২০২৬ আইপিএল এবং এরপর ইংল্যান্ড সফর রয়েছে তার সূচিতে।

নিউজিল্যান্ড সিরিজটি গিলের জন্য বিশেষ, কারণ এই প্রথম তিনি ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে তাকে ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়েছিল, যেখানে ভারত ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হারে।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১১ জানুয়ারি ভাদোদরায়। এরপর ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সময়ের মধ্যে গিল ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারেন এবং ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করবেন।

 

news